॥কাজী তানভীর মাহমুদ॥ রাজবাড়ী জেলার কালুখালী উপজেলার মাঝবাড়ী ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামের ভ্যান চালক রহিম শেখ(৩৫) হত্যার বিচারের দাবীতে কালুখালী থানার সামনে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।
গত ২০শে জুন সকাল ৯টার দিকে এলাকাবাসী প্রথমে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক সংলগ্ন মোহনপুর বাজারে মানববন্ধন করে। এ সময় মহাসড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এরপর এলাকাবাসী মোহনপুর বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কালুখালী থানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে। তারা ভ্যান চালক রহিম শেখের হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত এবং ঘটনার সাথে জড়িত নিহতের স্ত্রী সুফিয়া বেগম ও তার পরকীয়া প্রেমিক পল্লী চিকিৎসক আনোয়ারের ফাঁসির দাবী জানায়। পরে পুলিশের আশ্বাসে এলাকাবাসী কালুখালী থানার সামনের অবস্থান থেকে সরে যায়। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে রহিমের স্ত্রী সুফিয়া ও স্ত্রীর কথিত প্রেমিক আনোয়ারের ফাঁসির জোর দাবী জানায়।
নিহত রহিম শেখের ছোট বোন রেখা বেগম বলেন, তার ভাই রহিম ও ভাবী সুফিয়ার বিয়ে হয়েছে প্রায় ২০ বছর। তাদের ১৪বছরের একটি ছেলে আছে। অনেক দিন ধরেই এলাকার আনোয়ার হোসেন নামে এক গ্রাম্য ডাক্তারের সাথে সুফিয়ার পরকীয়ার সম্পর্ক। এসব নিয়ে একাধিকবার বিচার-সালিশও হয়েছে। গত ১৭ই জুন ভ্যান চালাতে গিয়ে রহিম নিখোঁজ হয়। পরে সুফিয়ার দেওয়া তথ্য মতেই গত বুধবার দুপুরে লাশ পাওয়া গেছে। সুফিয়া যদি জড়িত না থাকে তাহলে সে কিভাবে জানলো যে লাশ কোথায়।
নিহত রহিমের ছোট বোন বিলকিস বলেন, পরকীয়ার কারণেই আমার ভাইকে ভাবী সুফিয়া ও তার পরকীয়া প্রেমিক হত্যা করেছে। আমরা তাদের বিচার চাই।
রহিমের বড় বোন উর্মিলা বেগম বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত আনোয়ার ও সুফিয়ার ফাঁসি চাই।
৭০ বছরের বৃদ্ধ বাবা কেসমত শেখ বলেন, আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই।
রহিমের ছোট ভাই রফিস শেখ বলেন, আমি বাদী হয়ে কালুখালী থানায় আনোয়া ও সুফিয়াসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছি।
কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, আটককৃত সুফিয়া বেগমের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৩০)কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।