॥তনু সিকদার সবুজ॥ রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাসুম রেজা’র ব্যতিক্রমী উদ্যোগে জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে ‘সরকারী অফিসমুখী হন, আপনার সেবা করার সুযোগ দিন’-শ্লোগানকে সামনে রেখে ‘সমন্বিত সেবা’ নামক কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
এর মাধ্যমে উপজেলার সাধারণ জনগণ এক জায়গায় সকল সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলার সুযোগ পাবেন এবং যে সমস্যাগুলো তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করা সম্ভব সেগুলো সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা সমাধান করে দিবেন।
গতকাল ১৫ই মে সকাল ১০টায় বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই ‘সমন্বিত সেবা’ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ। দুপুর ১টা পর্যন্ত কার্যক্রম চলাকালে উপজেলার ৯টি সরকারী দপ্তরের (স্বাস্থ্য, কৃষি, প্রাণী সম্পদ, মৎস্য, ভূমি, মহিলা বিষয়ক, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা এবং সমাজসেবা) কর্মকর্তাগণ সেবা প্রদান করেন। প্রথম দিনে উপজেলার কয়েকশত মানুষ এই সেবা গ্রহণ করেন।
কৃষি দপ্তরের সেবা নিতে আসা নারুয়া ইউনিয়নের এলেঙ্গাডাঙ্গী গ্রামের কৃষক শামসুদ্দিন মন্ডল(৭০) এবং সমাজসেবা দপ্তরের সেবা নিতে আসা জামালপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গাহাতিমোহন গ্রামের শেফালী রাণী(৬০) বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের এ ধরণের উদ্যোগে তারা উপকৃত হয়েছেন। সেবা পেতে তাদের সময় কম লেগেছে। তাছাড়া সমস্যা নিয়ে এসে অনেক সময়ই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে অফিসে পাওয়া যায় না। তারা অফিসের বিভিন্ন কাজে বাইরে চলে যান। সেক্ষেত্রে প্রতি সপ্তাহের নির্দিষ্ট একটি দিনে এ ধরণের ‘সমন্বিত সেবা’র উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবীদার।
এ বিষয়ে ব্যতিক্রমী এই কার্যক্রমের উদ্যোক্তা বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাসুম রেজা বলেন, সরকারী দপ্তর হতে সেবা প্রাপ্তিতে জনগণকে অনেক সময় ও শ্রম অপচয় করতে হয়। তাই ভাবলাম জনগণের ভোগান্তি লাঘবে এ ধরণের উদ্যোগ কাজে লাগতে পারে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে উপজেলার বিপুল সংখ্যক মানুষ এই সমন্বিত সেবায় উপস্থিত হয়ে তাদের কাঙ্খিত সেবা গ্রহণ করেন। সপ্তাহের প্রতি মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে নিয়মিতভাবে এই কার্যক্রম চলবে।
সমন্বিত সেবা কার্যক্রম উদ্বোধনকালে বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ইউএনও মহোদয়ের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। কারণ একই সাথে সরকারী সকল দপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সেবা গ্রহণ করাটা খুবই কঠিন ব্যাপার। ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগটি যদি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মডেল হিসেবে গ্রহণ করেন তাহলে জনগণের সেবা প্রাপ্তি অনেক এগিয়ে যাবে। এতে সাধারণ জনগণ উপকৃত হবে।