॥দেবাশীষ বিশ্বাস॥ স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখলে চলে গেছে রাজবাড়ী সদর উপজেলার বানীবহ ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া জেলা পরিষদের কৈডাঙ্গা খালটি।
দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়া এবং প্রভাবশালীদের দখলের কারণে খালটি তার অস্তিত্ব হারাতে বসেছে। স্থানীয়রা বলছেন, খালটিকে দখলমুক্ত ও পুনঃখনন করলে এ অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়বে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, খুব দ্রুতই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে খালটি সংস্কার করা হবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৈডাঙ্গা খালের দু’পাশে গড়ে উঠেছে অবৈধ পাকা স্থাপনা। স্থানীয় প্রভাবশালীরা দখল করে নিয়েছে খালটির দু’পাশ। খালের মধ্যেই পিলার দিয়ে তৈরী করেছে পাকা দোকান ঘর। দীর্ঘদিন এভাবে খালটি দখল করে নিয়ে তারা ব্যবসা-বাণিজ্য করে আসছে। সৈয়দ পাঁচুরিয়া বাজার এলাকায় খালটির অবৈধ দখল হয়েছে বেশী। দীর্ঘদিন প্রভাবশালীরা খালটি দখল করে থাকলেও জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ জানেই না !
সৈয়দ পাঁচুরিয়ার বাসিন্দা আব্দুস সালাম পাটোয়ারী(৭০) বলেন, একসময় আশেপাশের ১০টি গ্রামের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য নৌকায় করে এই খাল দিয়ে রাজবাড়ী শহরসহ বানীবহ ও মাটিপাড়া বাজারে নিয়ে বিক্রি করতো। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে দখলদারদের কারণে খালটি আজ তার অস্তিত্বই হারাতে বসেছে। আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানাই, অনতিবিলম্বে খালটি অবৈধ দখলমুক্ত করে খনন করা হোক।
খাল দখল করে পাকা দোকান দোকান ঘর নির্মাণকারী সৈয়দ পাঁচুরিয়া গ্রামের ইমরান পাটোয়ারী দাবী করেন, তিনি নিয়ম মেনে রাজবাড়ী জেলা পরিষদ থেকে লিজ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। লিজের বৈধ কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি বলেন, কেবলমাত্র আবেদন করেছি। জেলা পরিষদ থেকে আমাকে বলেছে লিজের কাগজ পেতে দুই/এক মাস বিলম্ব হবে। ‘লিজের কাগজ হাতে পাওয়ার আগেই কেন পাকা স্থাপনা তৈরী করলেন’-এমন প্রশ্ন করলে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেননি।
কৈডাঙ্গা খালের অবৈধ দখলের ব্যাপারে জানতে চাইলে রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার বলেন, কোনভাবেই খাল দখল করে রাখা যাবে না। দখলদাররা যত শক্তিশালীই হোক না কেন, খুব দ্রুতই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের অভিযান চালানো হবে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে খালটি খনন কাজ শুরু করা যায় কিনা সেটা ভেবে দেখবো।