॥স্টাফ রিপোর্টার॥ সোনালী ব্যাংক লিমিটেড রাজবাড়ী আঞ্চলিক শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম (৪৬)কে মারপিট করে ৮টি চেক ও ৩টি অলিখিত স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নেওয়ার অভিযোগে গত ৬ই মে ৩জনের নাম উল্লেখ করাসহ অজ্ঞাত ৩/৪জনের বিরুদ্ধে রাজবাড়ী থানায় মামলা হয়েছে। গত ৩০শে এপ্রিল শহরের বড়পুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে ব্যাংক কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজবাড়ী থানার মামলা নং-১৬, ধারাঃ ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩৮৬/৫০৬/৩৪ পেনাল কোর্ড দায়ের করেন। আসামীরা হলো ঃ সজ্জনকান্দা এলাকার কে.এন.এম ফখরুল হাসান(৫৫) ও তার ছেলে দুর্লভ(২৫) এবং দীপ্ত(২২)।
মামলা সুত্রে জানা যায়, ব্যাংক কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বিগত ২০১৪ সালে ভবানীপুর মৌজায় তার নিজনামীয় একতলা ভবনসহ ৫শতাংশ জমি কে.এন.এম ফখরুল হাসানের স্ত্রী সাহানা আক্তারে কাছে বিক্রি করেন। জমিটির মূল্য ২৩লাখ টাকা হলেও বিক্রির সময় সাহানা আক্তার বায়না স্বরুপ তাকে ১৪লাখ টাকা দেন। বাকী ৯লাখ টাকা ৩মাসের মধ্যে পরিশোধের কথা থাকে। পরবর্তীতে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়ে গেলে সাহানা আক্তার বাকী ৯লাখ টাকা দিতে অপারগতা স্বীকার করে। ফলে স্থানীয়ভাবে তারা সমঝোতা করে ২০১৭ সালে ব্যাংক কর্মকর্তা তিন কিস্তিতে সাহানা আক্তারের বায়নাকৃত ১৪লাখ টাকা ফিরিয়ে দেন। কিন্তু তারা বায়না টাকা দ্বিগুন দাবী করে তাকে চাপ প্রয়োগ করাসহ নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল।
এ জের ধরে গত ৩০শে এপ্রিল সন্ধ্যায় ব্যাংক কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম অফিস শেষ করে বাসায় ফেরার পথে বড়পুল এলাকায় পৌছালে উল্লেখিতরা তার পথরোধ করে এলোপাতারীভাবে মারপিট করে। এরপর তারা তাকে তাদের বাড়ীতে নিয়ে ঘরে মধ্যে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে তার ব্যাগে থাকা নিজনামীয় সোনালী ব্যাংকের একাউন্টের চেক বইয়ের ৮টি পাতায় স্বাক্ষর করে নেয়। এর মধ্যে একটি চেকে ৩৮লাখ টাকা লিখে স্বাক্ষর করে নেয় তারা। এছাড়াও তারা ৩টি অলিখিত ১০০টাকার সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। তবে ছেড়ে দেয়ার সময় তারা তাকে ঘটনা প্রকাশ না করার জন্যও হুমকি দেয়।
এ ঘটনায় ব্যাংক কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম গত ৬ই মে থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এ খবর লেখা পর্যন্ত মামলার কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি।