॥স্টাফ রিপোর্টার॥ পাংশা উপজেলার যশাই ইউনিয়নের হাবাসপুর গ্রামের কৃষক আলম প্রামানিক (৩৫)কে হত্যার ঘটনায় ছোট ভায়রা করিম খা ও তার সহযোগি হারুন মন্ডলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
গত ৪ঠা ফেব্র“য়ারী নিহতের বড় ভাই বারেক প্রামানিক বাদী হয়ে পাংশা থানায় ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড ধারায় এ মামলাটি দায়ের করেন। পাংশা থানার মামলা নং-৪। আসামীরা হলো ঃ পাংশা উপজেলার উদয়পুর গ্রামের জামাল খার ছেলে করিম খা ও একই গ্রামের ওমর মন্ডলের ছেলে হারুন মন্ডল।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ২রা ফেব্র“য়ারী রাত সোয়া ৭টার দিকে আলম প্রামানিক বাইসাইকেলযোগে একই উপজেলার উদয়পুর গ্রামে শ্বশুর বাড়ীতে থেকে নিজ বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কিন্তু রাতে সে বাড়ীতে না ফিরলে পরিবারের লোকজন থাকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পরদিন সকালে থানায় মৌখিক ভাবে জানায়। এরপর থানা পুলিশ আলমের ছোট ভায়রা করিম খা’কে আটক করে। আটকের পর করিম স্বীকার করে সে ও তার সহযোগি হারুন আলমকে তার পরিধেয় লুঙ্গি গলায় পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। এরপর তারা তার লাশ গুম করার জন্য উদয়পুর কানার বিল মাঠে ওমর আলী ডাক্তারের চাষের জমিতে গভীর গর্ত করে মাটি চাপা দেয়। গত ৪ঠা মার্চ সকালে তার দেখানো মতো মাটি খুড়ে আলম প্রামানিকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মামলায় আরো উল্লেখ করা হয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলমের সাথে তার ছোট ভায়রা করিমের বিরোধ চলে আসছিল। এদিকে গতকাল ৫ই ফেব্র“য়ারী গ্রেফতারকৃত করিম খাকে আদালতে পাঠানো হলে সে দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী প্রদান করে।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, করিমের স্ত্রীর সাথে অবৈধ কাজ করার জন্য আলম তাকে(শ্যালিকা) ভয়ভীতি দেখাতো। সে বলতো তার(আলমের) সাথে কাজ না করলে বড় বোনের সমস্যা হবে এবং সে তাকে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দিবে। বিষয়টি তার স্ত্রী করিমকে আমাকে জানালে সে তাকে (আলমকে) বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু সে কিছুতেই বুঝতে চাইতো না। গত ২রা ফেব্র“য়ারী রাতে বাইসাইকেলযোগে শ্বশুর বাড়ী থেকে নিজ বাড়ী ফেরার পথে করিম ও হারুন তাকে আবারো বোঝানোর চেষ্টা করে। এ সময় আলম উচ্চ স্বরে কথা বললে তাদের সাথে মারামারি বেধে যায়। এক পর্যায়ে তার পরিহিত লুঙ্গী উপরে উঠে গলায় পেচিয়ে যায়। তারা প্রথমে চিন্তা করে ছিল সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে। পরে দেখে সে মারা গেছে। কিন্তু তার মারার কোন ইচ্ছা ছিল না বলে করিম স্বীকার। এ ঘটনার পর হারুন তার মাকে বিষয়টি বলে। এরপর হারুনের মা থানায় বিষয়টি জানালে থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তবে এ মামলার অপর আসামী হারুন এখনো গ্রেফতার হয়নি।