শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩২ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস-২০১৯ উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের শুভেচ্ছা বাণী

  • আপডেট সময় রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৯

দেশের জনসাধারণকে সরকারী আইন সহায়তা কার্যক্রম সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্যে ২০১৩ সালের ২৯ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০ কার্যকরের তারিখ অর্থাৎ ২৮ এপ্রিলকে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ঘোষণা করার পর থেকে সারা দেশে সরকারীভাবে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপিত হচ্ছে।
এবারের জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস, ২০১৯ এর প্রতিপাদ্য হচ্ছে “বিনামূল্যে লিগ্যাল এইডে আইনি সেবাদান, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় শেখ হাসিনার অবদান”
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে জাতিকে একটি অনন্য সাধারণ সংবিধান উপহার দেন। গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সাম্য ও ন্যায়বিচারের এক অনন্য দলিল আমাদের সংবিধান। এই সংবিধানে সুবিচার ও সাম্যের বাণীকে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি সকল নাগরিকের মৌলিক অধিকারের রক্ষাকবচ হিসেবে এতে যথাযথ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
আমাদের পবিত্র সংবিধানের ২৭নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- ‘আইনের দৃষ্টিতে সকলেই সমান এবং সকলেই আইনের সমান আশ্রয়লাভের অধিকারী’। সংবিধানের ১৯ নং অনুচ্ছেদে স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছে- ‘সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করিতে রাষ্ট্র সচেষ্ট হইবে’।
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপের ফলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, অবকাঠামোসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। নারী ও শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে। স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি শিক্ষার হার বৃদ্ধি পাওয়ায় জনগণ নিজ নিজ অধিকারের বিষয়েও সচেতন হয়ে উঠছেন। সরকার আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল, অসহায়, মামলা পরিচালনায় অসমর্থ বিচারপ্রার্থী মানুষকে আইনগত সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০ প্রণয়ন করেছে।
এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না, সরকারী আইন সহায়তা কার্যক্রমের সাফল্য নির্ভর করছে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা ও জনমত সৃষ্টির ওপর। এখনও দরিদ্র ও নিরক্ষর জনগণের মধ্যে অনেকেই তাদের আইনগত অধিকার সম্পর্কে সম্যক ধারনা রাখেন না। এসব মানুষের অধিকার লঙ্ঘিত হলে অথবা তারা কোন আইনি জটিলতায় পতিত হলে আর্থিক দৈন্যতা কিংবা দারিদ্রতা ও অজ্ঞতার কারণে আদালতের আশ্রয় নিতে পারেন না। আর এভাবেই দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষ ন্যায় বিচারে প্রবেশাধিকার থেকে প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হয়েছেন। বঞ্চনার শিকার বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ন্যায় বিচার প্রাপ্তি সহজতর করার লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রণয়ন করা হয় ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন ২০০০’। অসহায়, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত জনগণের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে আইনটি আশীর্বাদস্বরূপ।
আমি এ দিবসটির সাফল্য কামনা করছি।

মোঃ শওকত আলী
জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট
রাজবাড়ী।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!