শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ১২:০৮ পূর্বাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

জাপানের টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে মুজিবনগর দিবস পালিত

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৯

॥টোকিও প্রতিনিধি॥ জাপানের টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে গতকাল ১৭ই এপ্রিল যথাযথ মর্যাদায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বিকালে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে দিবসটির উপর এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। আমন্ত্রিত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠনে সরকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। একটি স্বাধীন সরকার ছাড়া একটি স্বাধীন রাষ্ট্র কল্পনাই করা যায় না। সেই প্রেক্ষাপটে ১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল তথা মুজিবনগর দিবস আমাদের জাতীয় জীবনের এক অনন্য দিন। বাংলাদেশের মাটিতে বিদেশী সাংবাদিক ও বন্ধুদের উপস্থিতিতে সরকার গঠন বাংলার মুক্তিকামী জনগণকে যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে আনতে অনুপ্রাণিত করেছিল। এছাড়া ভৌগলিক ও কৌশলগত কারণেও মুজিবনগর ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আলোচনা অনুষ্ঠানে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে প্রবাসী নেতৃবৃন্দ বলেন, সেদিন পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর অস্ত্রের ভয় উপেক্ষা করে আমাদের জাতীয় নেতাগণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন এবং সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি, তাজউদ্দীন আহমেদকে প্রধানমন্ত্রী এবং এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান, ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী ও খন্দকার মোশতাক আহমেদকে মন্ত্রীসভার সদস্য করে শপথ গ্রহণ ও স্বাধীন বাংলার অস্থায়ী সরকার গঠন করেন। মূলতঃ এখান থেকেই স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের পথচলা শুরু হয়। বঙ্গবন্ধুর নামে নামকরণ করা মুজিবনগর তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অবিনশ্বর হয়ে থাকবে।
বক্তাগণ মুজিবনগর সরকার গঠনের তাৎপর্য ও সঠিক ইতিহাস পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এ বিষয়ে আরো গবেষণার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে একটি ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। চা চক্রের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!