॥স্টাফ রিপোর্টার॥ প্রাণি সম্পদ সেবা সপ্তাহের উপলক্ষে ‘নিরাপদ আমিষের প্রতিশ্রুতি, সুস্থ সবল মেধাবী জাতি’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রাজবাড়ী জেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তরের আয়োজনে গতকাল ২৫শে ফেব্রুয়ারী সকালে বর্নাঢ্য র্যালী ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে সপ্তাহের উদ্বোধন করা হয়েছে।
সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের আম্রকানন চত্ত্বর থেকে বর্নাঢ্য র্যালী বের হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে শেষ হয়। এরপর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) মোঃ আশরাফ হোসেনের সভাপতিত্বে সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য কামরুন নাহার চৌধুরী লাভলী বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আসাদুজ্জামান এবং ঢাকার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক(ক্রয় ও উন্নয়ন) মোঃ আতাউর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ গণেশ চন্দ্র মন্ডল।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রকিব উদ্দিন আহম্মেদ, আহসানিয়া মিশনের জেলা ম্যানেজার মোঃ আবু রায়হান, বঙ্গবন্ধু ও জয়িতা পদকপ্রাপ্ত সফল খামারী লজি বেগম ও জেলা পোল্ট্রি খামারী এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রইস উদ্দিন ডিউক প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সদর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ নুরুল্লাহ মোঃ আহসান। এ সময় জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনারগণ, বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, প্রাণি সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাগণ এবং পোল্ট্রি ও দুগ্ধ খামারীগণসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য কামরুন নাহার চৌধুরী লাভলী বলেন, সারা দেশের ন্যায় রাজবাড়ীতেও প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ পালনের মাধমে আমাদের আমিষের চাহিদা পুরনের লক্ষ্যে আমিষ জাতীয় খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে। সেই জন্যই বর্তমান সরকার আমাদের সকলের, বিশেষ করে শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের সুস্থ রাখাসহ আমিষের ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে এই প্রাণি সম্পদ সেবা সপ্তাহ পালন করছে। সেই জন্য সকলের উচিত ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে শিশুসহ সকলকে আমিষের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে সচেতন করে তোলা। বর্তমান সরকারে প্রধানমন্ত্রী আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মেধাসম্পন্ন করে গড়ে তোলার জন্য প্রত্যেক স্কুলে পর্যায়ক্রমে মিডডে মিল চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। যারা এলাকার প্রভাবশালী বিত্তবান রয়েছেন তাদের উচিত সরকারের পাশাপাশি দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে একটি সুস্থ, সবল মেধাসম্পন্ন জাতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রাথমিক স্কুলের শিশুদের সপ্তাহে অথবা মাসে একবার মিডডে মিলে পুষ্টিকর আমিষ জাতীয় খাদ্যের ব্যবস্থা করা। যা তার এলাকার, জেলার তথা দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের পরিপূর্ণ পুষ্টি চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে। এভাবেই সকলের সহযোগিতায় আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পুষ্টিহীনতা ও আমিষের অভাব পূরণের মাধ্যমে একটি মেধাসম্পন্ন জাতিতে পরিণত হবে। এই জাতির ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তার মেধা দিয়ে দেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় রূপান্তরসহ বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন ২০২১ সালের ডিজিটাল মধ্যম আয়ের দেশে ও ২০৪১ সালে বিশ্বের উন্নত দেশের কাতারে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করবে। তিনি সকল অভিভাবককে তাদের বাচ্চাদের ফাষ্টফুডের পরিবর্তে দেশীয় খাবারের প্রতি অভ্যাস গড়ে তোলার আহবান জানান।