॥চঞ্চল সরদার॥ রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের স্কুল ছাত্রী মাসুরা খাতুন(১৫) বিনা চিকিৎসায় ৩বছর ধরে শয্যাশায়ী হয়ে ধুঁকছে। টাকার অভাবে তার চিকিৎসা করাতে পারছে না পরিবার। মাসুরার মা ফতেমা বেগমও নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় দেড় বছর ঘরে পড়ে আছে। তাদের চিকিৎসা করানোর মতো সঙ্গতি মাসুরার রিক্সা চালক পিতা বাচ্চু সরদারের নেই। বাচ্চু সরদার(৩৮) বলেন, ডাক্তাররা বলেছে মেয়েটার চিকিৎসা করাতে প্রায় তিন লক্ষ টাকার প্রয়োজন। ওর এখন যে অবস্থা তাতে ওকে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা করালে ভালো হবে। কিন্তু সেই টাকা যোগার করার সামর্থ্য আমার নেই। অন্যের জায়গায় থাকি। ভাড়ায় রিক্সা চালিয়ে যা পাই তা দিয়ে কোনমতে খাওয়া-পরাটা চলে। বাচ্চু সরদার আরো বলেন, সাফুরা ৩বছর আগে পেয়ারা পাড়ার জন্য গাছে উঠে গাছ থেকে পড়ে যায়। এতে ওর পিঠের মেরুদন্ড ভেঙ্গে যায়। ডাক্তাররা ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা করাতে বলেছিল। কিন্তু টাকার অভাবে করাতে পারিনি। ৬/৭ মাস পর ও কিছুটা সুস্থ্য হয়ে আস্তে আস্তে হাটতে পারতো। স্কুলেও যেতে পারতো। পরে আবার চিকুনগুনিয়া রোগ হয়ে যেখানে হাড় ভেঙ্গেছিল সেখান থেকে বেঁকে যায় এবং শরীরের ভাঙ্গা স্থানের পর থেকে পা পর্যন্ত শক্তি হারিয়ে যায়। তারপর থেকে ও সবসময় বিছানাতেই পড়ে থাকে। তার উপর আবার ওর মা দেড় বছর যাবৎ অসুস্থ্য। তার হাতে ঘা হয়েছে এবং পায়ের সমস্যার কারণে স্বাভাবিকভাবে হাটা-চলাও করতে পারে না। সেও ঘরেই পড়ে থাকে। তাই আমি ওদের চিকিৎসার জন্য সবার কাছে সাহায্য চাচ্ছি। মাসুরা খাতুন বলেন, সূর্যনগর দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ার সময় আমার এই অবস্থা হয়। বিছানায় পড়ে থাকতে আমার ভালো লাগে না। সুস্থ্য হয়ে আমি আবার স্কুলে যেতে চাই। আপনারা আমার সুস্থ্য হওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন
আপনাদের জন্য দোয়া করবো। মাসুরাদের কেউ সাহায্য করতে চাইলে তার পিতা বাচ্চু সরদারের ০১৭৭১৬৯৬৪৮৮ নম্বর মোবাইলে যোগাযোগ করতে পারেন।