॥মোক্তার হোসেন॥ রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার কলিমহর ইউপির ৬নং ওয়ার্ডের লাহিড়ী রঘুনাথপুর গ্রামে গত ২৮শে মার্চ রাত সাড়ে ৯টার দিকে সন্ত্রাসীদের গুলিতে কৃষক ওয়াহাব শেখ(৫৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত এবং নিহতের মামাতো ভাই একই গ্রামের দুলাল খান(৪৮) ও ছেলে সজীব(১৫) আহত হয়েছে।
এ ঘটনার পর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি,বিপিএম, পিপিএম-সেবা গতকাল শুক্রবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ ঘটনার পর পুলিশ সুপারের নির্দেশে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে রাজবাড়ীর ডিবি এবং পাংশা থানার পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
ডিবি’র ইন্সপেক্টর মোঃ কামাল হোসেন ভূঁইয়া জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই আসামীদের গ্রেফতারের মাধ্যমে হত্যার রহস্য উন্মোচিত হবে।
জানা যায়, গত ২৮শে মার্চ রাত সাড়ে ৯টার দিকে একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী কলিমহর ইউপির লাহিড়ী রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত আফছার আলী খানের বড় ছেলে আওয়ামী লীগ কর্মী দুলাল খানের উপর তার বাড়ীর সামনে হামলা চালায়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সে জীবন বাঁচাতে দৌড় দিয়ে প্রতিবেশী ফুফাতো ভাই ওয়াহাব শেখের বাড়িতে উঠে শোর-চিৎকার করেন। এ সময় ওয়াহাব শেখ ও তার ছেলে সজীব ঘর থেকে বের হওয়ার পরপরই সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে ওয়াহাব শেখ বুকে গুলিবিদ্ধ হয়। সন্ত্রাসীরা দুলাল খান ও সজীবকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপায়। তাদের শোর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ ওয়াহাব শেখ ও হামলায় আহত দুলাল খান ও সজীবকে দ্রুত কুষ্টিয়া জেলার খোকসা হাসপাতালে নিয়ে যায়। খোকসা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ ওয়াহাব শেখকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আহতরা বর্তমানে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
খবর পেয়ে রাতেই পাংশা মডেল থানা ও রাজবাড়ীর ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং অভিযান শুরু করে।
এ ব্যাপারে পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আহসান উল্লাহ জানান, এখন পর্যন্ত ঘটনার নেপথ্য উদঘাটন করা সম্ভব হয় নাই। তবে ঘটনার মোটিভ উদঘাটনসহ জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশী জোর তৎপরতা চলছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য নিহত ওয়াহাব শেখ নিরীহ প্রকৃতির কৃষক মানুষ। সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় এলাকায় প্রচন্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।