॥তনু সিকদার সবুজ॥ একাদশ শ্রেণীর ফাইনাল পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি আদায় এবং সঠিক সময়ে অধ্যক্ষ কলেজে না আসার অভিযোগে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বালিয়াকান্দি সরকারী কলেজের শিক্ষার্থীরা।
গতকাল ২৮শে মার্চ বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কুমারেশ সরকার কলেজে এলে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন। শিক্ষার্থীরা তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে এবং তাদের দাবী মেনে নেয়ার দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে। পরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে গিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাসুম রেজার কাছে তাদের অভিযোগ তুলে ধরলে তিনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে তারা কলেজের ক্যাম্পাসে ফিরে আসে।
বিক্ষোভকারী একাদশ শ্রেণীর মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী সুব্রত কুমার পাল ও জিসান হোসাইন বলেন, আগামী ৩রা এপ্রিল থেকে আমাদের একাদশ শ্রেণীর ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু আমাদের পরীক্ষার্থীদের একেকজনের কাছ থেকে একেক রকম করে অবৈধভাবে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কোন নিয়ম-নীতি ছাড়াই কলেজ কর্তৃপক্ষ এই কাজ করছে। তাই আমরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছি।
একাদশ শ্রেণীর আরেক শিক্ষার্থী আকাশ লস্কর বলেন, অনেক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ৪হাজার টাকার উপরে পরীক্ষার ফিসহ বিভিন্ন খাতে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে। মফস্বলের একটি সরকারী কলেজের একজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে এক বছরে ৫হাজার টাকার উপরে আদায় করা হচ্ছে। এটা কিভাবে সম্ভব? তাহলে আমাদের কলেজটি সরকারী হয়ে কি লাভ হলো।
মিম নামের আন্দোলনকারী আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের অধ্যক্ষ স্যার নিয়মিত কলেজে আসেন না। যে দিন আসেন তাও আবার সেদিন ১২টার পর আসেন। একজন অধ্যক্ষ যদি অনিয়মিতভাবে কলেজে আসেন তাহলে আমাদের কলেজ কিভাবে চলে সেটি আপনারামই বিচার করবেন।
অতিরিক্ত টাকা আদায় এবং নিয়মিত কলেজে না আসার ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কুমারেশ সরকার বলেন, আমরা অতিরিক্ত কোন টাকা আদায় করছি না। যাদের ৪হাজারের উপরে টাকা ধরা হয়েছে তাদের কাছে বেতনসহ অন্যান্য খাতে বকেয়া রয়েছে। এছাড়া আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। কারণ প্রায় প্রতিদিনই আমার উপজেলাতে বিভিন্ন মিটিং থাকে। বেতনের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, আমাদের কলেজটি সদ্য সরকারী হয়েছে। এখনো আমরা সরকারের থেকে কোন ধরনের প্রজ্ঞাপন পাইনি। তাই আমরা আগের বেসরকারী নিয়মেই বেতন নিচ্ছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাসুম রেজা বলেন, কলেজের শিক্ষার্থীরা আমার কাছে বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে এসেছিল। আমি তাদের অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছি। প্রয়োজন হলে কলেজের বার্ষিক সমাপনী পরীক্ষার তারিখ পেছানো হবে।