রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

জাপানে বাংলাদেশ দূতাবাসে গণহত্যা দিবস পালিত

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ, ২০১৯

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ জাপানের টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে গতকাল ২৫শে মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ পালন করা হয়েছে।
১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ কালরাতে ঘুমন্ত, নিরস্ত্র ও নিরোপরাধ বাঙ্গালীর উপর মানব ইতিহাসের জঘন্যতম ও নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞ চালায় তৎকালীন পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী। তাই ২৫শে মার্চ কে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসাবে পালন করা হয়।
গণহত্যা দিবস উপলক্ষে গতকাল সোমবার টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয় কালো ব্যাচ ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে।
পরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে দোয়া করা হয়। এছাড়া বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্য এবং দেশের শান্তি ও অব্যাহত অগ্রগতি কামনা করেও দোয়া করা হয়। পরে দিবসটি উপলক্ষে প্রদত্ত বানী পাঠ করা হয়। এরপর শুরু হয় আলোচনা অনুষ্ঠান।
আলোচনা অনুষ্ঠানে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা ও প্রবাসী বাংলাদেশী নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। রাষ্ট্রদূত শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট নির্মমভাবে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল সদস্য এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ বিশ্ব ইতিহাসে এক কলঙ্কময় অধ্যায়।
তিনি আরো বলেন, বাঙ্গালী জাতিকে পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করার অভিপ্রায়ে পাকিস্তানী বর্বর হানাদার বাহিনী সেদিন যে পৈশাচিক নির্যাতন চালিয়েছিলো তা বাংলার মুক্তিকামী মানুষকে দমিয়ে রাখতে পারে নাই। ত্রিশ লক্ষ প্রাণ ও দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বীর বাঙ্গালী বিজয় ছিনিয়ে আনে। আর তাই আজ আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক, আমরা পেয়েছি স্বাধীন ভূখন্ড, নিজস্ব মানচিত্র ও পতাকা– যা আমাদের গর্বের প্রতীক।
রাষ্ট্রদূত জানান, ইতিহাসের জঘন্যতম এই হত্যাযজ্ঞের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করার জন্য, সরকার এবং বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের দূতাবাসসমূহ কাজ করে যাচ্ছে। আর এই স্বীকৃতি অর্জনের মাধ্যমেই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শণ পরিপূর্ণতা পাবে।
প্রবাসী বাংলাদেশী নেতৃবৃন্দ বলেন, বাঙ্গালী জাতি বীরের জাতি, এই জাতি মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাচ্ছে ও যাবে। আমরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা এনেছি আর বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে আধুনিক, উন্নত, সমৃদ্ধশালী ‘সোনার বাংলা’ হিসাবে গড়ে তুলতে সর্বাত্মক চেষ্টা করবো– ইনশাল্লাহ।
অনুষ্ঠানে গণহত্যা দিবসের উপর নির্মিত তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এ সময় দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!