বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:২০ পূর্বাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

পাংশায় এয়াকুব আলী বিদ্যাপিঠে প্রধান শিক্ষকের বেত্রাঘাতে ছাত্র হাসপাতালে!

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০১৯

॥পাংশা প্রতিনিধি॥ রাজবাড়ী জেলার পাংশা শহরের এয়াকুব আলী চৌধুরী বিদ্যাপীঠের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র সাকিন সরদার (১২)কে গতকাল ১৪ই মার্চ সকালে লাইব্রেরীতে ডেকে নিয়ে বেত্রাঘাত করে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে পাংশা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  পাংশা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছাত্র সাকিন সরদার জানায়, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ী থেকে স্কুলে এসে ক্লাসে ব্যাগ রেখে নিচে নামলে ৭ম শ্রেণির ছাত্র নাফিজ তাকে ডেকে বলে যে তুমি কি রুবেলের ভাই। সাকিন হাঁ বললে হেড স্যার তোমাকে ডেকেছে বলে জানায় নাফিজ। নাফিজের কথামত প্রধান শিক্ষক মোঃ মোতাহার হোসেনের লাইব্রেরী কক্ষে গেলে প্রধান শিক্ষক সাকিনকে বেত্রাঘাত করে। সাকিন বেত্রাঘাতের কারণ জানতে চাইলে তাকে পুনরায় বেত্রাঘাত করে। বেত্রাঘাতের পর তাকে ক্লাসে পাঠায়ে দেওয়া হয়। অসুস্থ অবস্থায় দুপুর দেড়টার দিকে বাবুপাড়া ইউপির ব্রহ্মপুর গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার পর প্রধান শিক্ষক কর্তৃক কোনো কারণ ছাড়াই বেত্রাঘাত করার কথা জানালে বাড়ীর লোকজন তাকে পাংশা হাসপাতালে ভর্তি করে। সাকিন সরদার এয়াকুব আলী চৌধুরী বিদ্যাপীঠের পদ্মা শাখার ছাত্র। তার ভর্তি রোল নং-৪১। তার পিতা জিলানী সরদার কাতার প্রবাসী।  এ ব্যাপারে সাকিনের বড় চাচা ব্রহ্মপুর গ্রামের তায়জাল সরদার জানান, তার ভাতিজা সাকিন সরদার খুই নরম স্বভাবের ছেলে। সে ওই স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। পাশাপাশি সে পবিত্র কোরআনের হাফেজ। প্রধান শিক্ষক কোনো মহলের ইন্দনে সাকিনকে অমানবিকভাবে নির্যাতন করেছে। সরকারী উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিষয়টি তদন্ত করার দাবী জানান তিনি।  এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মোঃ মোতাহার হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে ছাত্র সাকিনের বেয়াদবী করার কারণে বেত্রাঘাতের কথা স্বীকার করেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!