স্টাফ রিপোর্টার॥ আগামী ২৪শে মার্চ অনুষ্ঠিতব্য রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ হিসাবে মাঠে সক্রিয় রয়েছেন আওয়ামী লীগের দু’জন বিদ্রোহী প্রার্থী। তবে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন(নৌকা প্রতীক) পেয়েছেন রাজবাড়ী পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সফিকুল ইসলাম সফি।
আর মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এডঃ ইমদাদুল হক বিশ্বাস(আনারস) এবং জেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম নওয়াব আলী (দোয়ত কলম)। বিএনপি নির্বাচনে না আসায় এবারের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামীলীগ।
রাজবাড়ী সদর উপজেলাজুড়ে নৌকা প্রতীকের পক্ষে ব্যাপক প্রচারণা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন মোঃ সফিকুল ইসলাম সফি।
তিনি বলেন, সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনগণ আমাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করলে দুর্নীতিমুক্ত উপজেলা প্রশাসন, মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূলে আন্তরিকভাবে কাজ করব।
অন্যদিকে সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট ইমদাদুল হক বিশ্বাস বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ উপজেলা নির্বাচনে লড়াইটা হবে মূলত আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে। তিনিও তার অনুসারীদের নিয়ে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন।
এডঃ ইমদাদুল হক বিশ্বাস বলেন, তৃণমূলে আমার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। দলীয় প্রার্থী নির্ধারনেও আমার জনপ্রিয়তা থাকা সত্বেও আমাকে মনোয়ন না দিয়ে অপর প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। সদর উপজেলাবাসীর দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে আমি নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। এই জনপদের প্রতিটি মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসার ফলেই আমি প্রার্থী হয়েছি।
তিনি বলেন, জনগন যেভাবে আমার জন্য সত্রিুয়ভাবে কাজ করছেন তাতে আগামী ২৪শে মার্চের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তারা আমাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবেন। এ নির্বাচনে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার ঠিকমতো প্রয়োগ করলে আমার জয় শতভাগ নিশ্চিত ইনশাআল্লাহ।
অপর প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম নওয়াব আলী(দোয়ত কলম) বলেন, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন।
নির্বাচনে বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা ভোটাধিকার প্রয়োগের ব্যাপারে এখনো কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে তারা ভোট কেটে ভোট দিতে গেলে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী বা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষে যাবে বলে সচেতন মহল ধারণা করছে।