॥স্টাফ রিপোর্টার॥ ‘জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮’ সংশোধনপূর্বক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেসরকারী কলেজের অনার্স-মাস্টার্স কোর্সে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করে এমপিওভুক্তির দাবীতে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন পালন এবং জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
বাংলাদেশ বেসরকারী কলেজ অনার্স মাস্টার্স শিক্ষক সমিতি রাজবাড়ী জেলা কমিটির উদ্যোগে গতকাল ২৪শে ফেব্রুয়ারী এই কর্মসূচী পালন করা হয়। প্রথমে বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন পালন করা হয়। মানববন্ধন চলাকালে সমিতির জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক শাহ্ মুজতবা রশীদ আল কামাল, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ কাওসার হামিদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র কর্মকার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সমিতির সদস্যভুক্ত বিভিন্ন বেসরকারী কলেজের অনার্স মাস্টার্স কোর্সের প্রায় অর্ধশত শিক্ষক এই মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধন শেষে সমিতির নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারক লিপিতে বলা হয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে অদ্যবধি মোট ৮৫৭টি অনার্স মাষ্টার্স কলেজের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে প্রতি উপজেলায় একটি করে ৬৫৪টি কলেজ সরকারীকরণ করা হয়। অবশিষ্ট ২০৩টি বেসরকারী কলেজ বর্তমানে অনার্স ও মাষ্টার্স কোর্স পরিচালিত হচ্ছে। এই ২০৩টি বেসরকারী কলেজে দীর্ঘ ২৭ বছর প্রায় ৩৫০০জন নন এমপিও অনার্স মাষ্টার্স শিক্ষক দ্বারা প্রায় ৮লক্ষ অনার্স মাষ্টার্স শিক্ষার্থীর পাঠ দান চলছে। আমাদের এমপিও ভুক্তির জন্য জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্যের সুপারিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ডিও লেটারসহ ১০ম জাতীয় সংসদের স্থায়ী কমিটির সুপারিশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করলেও বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো এমপিও নীতিমালা-২০১৮ এ আমাদের অর্ন্তভুক্ত না করায় আমরা প্রায় ৩৫০০জন শিক্ষক এবারও এমপিও বঞ্চিত হয়েছি।
উল্লেখিত এমপিও নীতিমালা-২০১৮ সংশোধন করে বেসরকারী কলেজে নিয়োগপ্রাপ্ত অনার্স মাষ্টার্স পর্যায়ের শিক্ষকদের অর্ন্তভুক্ত করে এমপিও করলে এই অবহেলিত শিক্ষকরা দীর্ঘ ২৭বছর পর বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে। এমতাবস্থায় তাদেরকে এমপিওভুক্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট বিনীত অনুরোধ জানানো হয়।