॥স্টাফ রিপোর্টার॥ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জোড়া মসজিদে ১১৮তম পবিত্র ওরশ শরীফে যোগদান শেষে ওরশ স্পেশাল ট্রেনটি সুষ্ঠুভাবে গতকাল ১৯শে ফেব্রুয়ারী রাতে রাজবাড়ীতে ফিরে এসেছে। রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে ট্রেনটি রাজবাড়ী রেলস্টেশনে এসে পৌঁছায়।
গত ১৫ই ফেব্রুয়ারী রাত ১০টায় ট্রেনটি মেদিনীপুরের উদ্দেশ্যে রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে যায়। আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়া, রাজবাড়ীর ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ রেলওয়ের ২৪টি বগি সম্বলিত ওরশ স্পেশাল ট্রেনটিতে ১২৫৪ জন পুরুষ, ১০০৬ জন নারী ও ৭৬ শিশু সবমোট ২, ৩৩৬ জন যাত্রী ছিল। এর নেতৃত্বে ছিলেন আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়া, রাজবাড়ীর সভাপতি কাজী ইরাদত আলী। এ বছর মেদিনীপুর ওরশ শরীফে যোগদানকারী ট্রেন যাত্রীদের ভিসা ফি, ভ্রমণ কর, ভাড়া ও অন্যান্য খরচসহ মোট ৩৩৫০ টাকা করে ব্যয় হয়েছে। উল্লেখযোগ্য ওরশ যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন ঢাকা বিভাগের সাবেক বিভাগীয় কমিশনার এম. বজলুল করিম চৌধুরী ও তার সহধর্মিনী, রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডঃ এম.এ খালেক প্রমুখ।
আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়া, রাজবাড়ী সূত্রে জানা গেছে, মেদিনীপুরে নূরনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর ৩৩তম ও গাউস-উল-আযম বড় পীর সৈয়দেনা হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (আঃ) পাক এর ২০তম অধস্তন পবিত্র বংশধর আলী আব্দুল কাদের সামছুল কাদের হযরত সৈয়দ শাহ মোরশেদ আলী আল কাদেরী আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী আল বাগদাদী আল মেদিনীপুরী (আঃ) মশহুর নাম “মওলাপাক”-এঁর ১১৮তম বার্ষিক ওরশ শরীফ গত ১৭ই ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাতে জোড়া মসজিদ মির্জা মহল্লা মেদিনীপুরে উদযাপিত হয়। ওরশ শরীফ পরিচালনা করেন রাসুল (সাঃ) পাক এর ৩৬তম ও গাউস-উল-আযম বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানী (আঃ) পাক এর ২৩তম অধস্তন পবিত্র বংশধর জিল্লে ইলাহী, বেলায়েতের রবি, গাউসে জামান লাখো ভক্তের আকা ও কেবলা কাদেরীয়া তরীকার সাজ্জাদানশীন বড় হুজুরপাক হযরত সৈয়দ শাহ্ রশিদ আলী আল কাদেরী আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী আল বাগদাদী আল মেদিনীপুরী মাদ্দাজিলুহুল আলী।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও ভারত সরকার যৌথভাবে ১৯০২ সাল থেকে এই স্পেশাল ট্রেনটি চলাচলের ব্যবস্থা করে আসছে। এছাড়া মেদিনীপুরের ওরশ শরীফে যোগদানের জন্য রাজবাড়ীসহ বিভিন্ন স্থান থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ সড়ক পথেও ভারতে গিয়েছিল।