॥রফিকুল ইসলাম॥ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জোড়া মসজিদে ১১৮তম পবিত্র ওরশ শরীফে যোগদানের জন্য রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ২২৬০ জন যাত্রী নিয়ে ওরশ স্পেশাল ট্রেন গতকাল ১৫ই ফেব্রুয়ারী রাত ১০টায় যাত্রা শুরু করেছে।
ট্রেনটি রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন ত্যাগের প্রাক্কালে ১নং প্লাট ফর্মে রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী, জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী, পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি বিপিএম,পিপিএম-সেবা, রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী ও আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়া রাজবাড়ীর সভাপতি কাজী ইরাদত আলীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ ট্রেন যাত্রীদের বিদায় জানান। যাত্রার পূর্বে সকলে দোয়া-মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন রাজবাড়ী খানকা শরীফ বড় মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা মোঃ শাহজাহান।
আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়া রাজবাড়ীর ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ রেলওয়ের ২৪টি বগি সম্বলিত ওরশ স্পেশাল ট্রেনটিতে ১২৫৪ জন পুরুষ, ১০০৬ জন নারী ও ৭৬ শিশু যাত্রী রয়েছে। এর নেতৃত্বে রয়েছেন আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়া রাজবাড়ীর সভাপতি(ট্রেন লিডার) কাজী ইরাদত আলী। ওরশ শেষে আগামী ১৯শে ফেব্রুয়ারী রাতে ট্রেনটি রাজবাড়ীতে ফিরে আসবে।
এ বছর মেদিনীপুর ওরশ শরীফে যোগদানকারী ট্রেন যাত্রীদের ভিসা ফি, ভ্রমণ কর, ভাড়া ও অন্যান্য খরচসহ মোট ৩৩৫০ টাকা করে ব্যয় হয়েছে।
এবারের ওরশ যাত্রীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সাবেক সচিব ও ঢাকা বিভাগের সাবেক বিভাগীয় কমিশনার এম. বজলুল করিম চৌধুরী ও তার সহধর্মিনী এবং রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডঃ এম.এ খালেক প্রমুখ।
আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়া, রাজবাড়ী সূত্রে জানা গেছে, মেদিনীপুরে নূরনবী হযরত মুহাম্মদ(সাঃ) এর ৩৩তম ও গাউস-উল-আযম বড় পীর সৈয়দেনা হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (আঃ) পাক এর ২০তম অধস্তন পবিত্র বংশধর আলী আব্দুল কাদের সামছুল কাদের হযরত সৈয়দ শাহ মোরশেদ আলী আল কাদেরী আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী আল বাগদাদী আল মেদিনীপুরী (আঃ) মশহুর নাম “মওলাপাক”-এঁর ১১৮তম বার্ষিক ওরশ শরীফ আগামী ১৭ই ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাতে জোড়া মসজিদ মির্জা মহল্লা মেদিনীপুরে উদযাপিত হবে। ওরশ শরীফ পরিচালনা করবেন রাসুল (সাঃ) পাক এর ৩৬তম ও গাউস-উল-আযম বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানী(আঃ) পাক এর ২৩তম অধস্তন পবিত্র বংশধর জিল্লে ইলাহী, বেলায়েতের রবি, গাউসে জামান লাখো ভক্তের আকা ও কেবলা কাদেরীয়া তরীকার সাজ্জাদানশীন বড় হুজুরপাক হযরত সৈয়দ শাহ্ রশিদ আলী আল কাদেরী আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী আল বাগদাদী আল মেদিনীপুরী মাদ্দাজিলুহুল আলী।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও ভারত সরকার যৌথভাবে ১৯০২ সাল থেকে এই স্পেশাল ট্রেনটি চলাচলের ব্যবস্থা করে আসছে। এছাড়া মেদিনীপুরের ওরশ শরীফে যোগদানের জন্য রাজবাড়ীসহ বিভিন্ন স্থান থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ সড়ক পথেও ভারতে যাচ্ছে।
রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ওরশ স্পেশাল ট্রেন যাত্রা উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার বিকাল থেকে পুলিশের পক্ষ থেকে শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।