॥এম.এইচ আক্কাস॥ দৌলতদিয়া পতিতাপল্লীর যৌনকর্মী শাহনাজ পারভীন ওরফে শশী(২৭) এর টাকা ও স্বর্ণালংকারের লোভে তাকে খুনের পরিকল্পনা করে রনি ও তার বন্ধু।
শশী খুনের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত রনি মোল্লা(২২) পুলিশকে এ কথা বলেছে। সে মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার গালা ইউনিয়নের কৌড়ি গ্রামের সোহরাব মোল্লার ছেলে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার পরিদর্শক(তদন্ত) মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, ঘাতক রনি ও তার বন্ধু এর আগে একাধিকবার শশীর ঘরে খদ্দের হয়ে এসেছিল। সে সময় যৌনকর্মী শশীর নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারের উপর নজর পড়ে তাদের। তারা শশীকে খুন করে তার ঘর থেকে সেগুলো লুট করার পরিকল্পনা করে। সে অনুযায়ী গত ১৪ই ফেব্রুয়ারী রাত ৮টার দিকে রনি খদ্দের হয়ে শশীর ঘরে প্রবেশ করে এবং তার বন্ধু বাইরে অপেক্ষায় থাকে। যৌনকর্ম করার সময় বিশেষ মুহুর্তে রনি শশীর গলায় ছুরি দিয়ে টান দেয়। এ সময় শশী চিৎকার দিয়ে বিছানা থেকে নেমে গেলে রনি তাকে পিছন থেকে ছুরি দিয়ে কোপাতে থাকে। একপর্যায়ে শশী ঘরের দরজা খুলে সেখানে পড়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা ছুটে এসে রনিকে ছুরিসহ হাতেনাতে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। আহত শশীকে উদ্ধার করে প্রথমে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা খারাপ হওয়ায় সেখান থেকে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে নেয়ার পথেই শশীর মৃত্যু হয়।
ইন্সপেক্টর মোঃ আমিনুল ইসলাম আরও জানান, গ্রেফতারকৃত রনি হত্যাকান্ডের বিষয়ে পুলিশের কাছে সবকিছু স্বীকার করেছে। তার সহযোগী বন্ধুকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
এ ঘটনায় দৌলতদিয়া পতিতাপল্লীর যৌনকর্মীদের মধ্যে আতংকের সৃষ্টি হয়েছে। সাম্প্রতিককালে একই কায়দায় যৌনকর্মীদের গলা কেটে হত্যা ও হত্যার চেষ্টার ঘটনায় তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতারিত হয়ে জীবনের সবকিছু হারিয়ে এই অন্ধকার জীবন বেছে নেয়া মানুষগুলোকে এভাবে বিষয়টি তাদের মধ্যে উৎকণ্ঠার সৃষ্টি করেছে।