॥হেলাল মাহমুদ॥ রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের নিভা গ্রামে নিজের কন্যা (১২)কে ধর্ষণের ঘটনায় পিতা রাজা মন্ডল (৩৬)কে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা। সে নিভা গ্রামের হাছেন মন্ডলের ছেলে।
জানা গেছে, রাজা মন্ডল ও তার স্ত্রী দু’জনেই কুষ্টিয়ার একটি মেসে কাজ করে। মেয়েটি গ্রামের বাড়ীতে দাদীর সাথে থাকে। গত প্রায় ১বছর ধরে লম্পট রাজা মন্ডল মাঝে-মধ্যেই বাড়ীতে এসে মেয়েকে ধর্ষণ করে। মেয়ে বার বার নিষেধ করলেও সে তা না শুনে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে যেতে থাকে। সর্বশেষ গত ৭ই ফেব্রুয়ারী রাজা মন্ডল বাড়ীতে এসে আবারও মেয়েকে ধর্ষণ করে কুষ্টিয়া চলে যায়। মেয়েটি তার দাদীসহ স্থানীয় লোকজনের কাছে ঘটনাটি প্রকাশ করে দেয়।
গতকাল ৯ই ফেব্রুয়ারী সকাল ৯টার দিকে রাজা মন্ডল বাড়ীতে আসলে স্থানীয়রা তাকে ধরে পাট্টা ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আটকে রেখে গণধোলাই দেয়। পরে পাট্টা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রব বিশ্বাস পাংশা থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে তাকে আটক করে নিয়ে যায়।
পাংশা থানার ওসি আহসান উল্লাহ জানান, গণধোলাইয়ে আহত রাজা মন্ডল বর্তমানে পুলিশের প্রহরায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা দায়ের করেছে। মেয়েটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।