বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৭:২৯ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

জৌকুড়ায় শ্মশান নির্মাণে বাঁধা দিচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা

  • আপডেট সময় শনিবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী সদর উপজেলার জৌকুড়ায় একটি সার্বজনীন মহাশ্মশান নির্মাণে বাধা দিচ্ছে এলাকার কয়েকজন প্রভাবশালী।
তাদের বাঁধায় শ্মশানটির উন্নয়ন কাজ করতে পারছেন না জমিদাতা সুজিৎ কুমার কুন্ডু। অথচ স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় বিহারীদের গুলি নিহত সংখ্যালুঘু দুই ব্যক্তিকে ওই খানেই দাহ করা হয়েছিল।
জৌকুড়া সার্বজনীন মহাশ্মশানটির সভাপতি সুজিৎ কুমার কুন্ডু জানান, স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় তাদের বংশধর রোমনী মোহন কুন্ডু ও বিমল চন্দ্র কুন্ডুকে ধরে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে পাক বিহারীরা। পরে পরিবারের লোকজন তাদেরকে ওই স্থানে দাহ করেন। এরপর থেকেই ৩শতাংশ জমির উপর ওই স্থানটিতে শ্মশান হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। শ্মশানটির চারপাশের জমিও তাদের পরিবারেরই ছিল। পর্যায়ক্রমে শুধু শ্মশানের ওই ৩শতাংশ জমি রেখে বাকী জমিগুলো বিক্রি করা হয়। সম্পতি তিনি শ্মশানটি উন্নয়ন করছেন। উন্নয়ন কাজ এখনো সম্পূর্ণ হয়নি। এছাড়াও জেলা পরিষদ থেকে ১লক্ষ টাকা বরাদ্দ পেয়েছেন। শ্মশানটির চারপাশে বাউন্ডারী করা হবে। ঠিক ওই মুর্হুতে এলাকার জালাল উদ্দিন মাস্টার, শফিক সরদার, খোরশেদ সরদার প্রমুখরা শ্মশানটিতে উন্নয়নের কাজের বাধা দেয়। তাদের দাবী এখানে শ্মশান করা যাবে না। শ্মশান হলে তাদের জমির ক্ষতি হবে। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে ৩বার শালিশ করা হয়। তিন বার শালিশেই শ্মশান করার পক্ষে রায় দেয়া হয়। কিন্তু তারপরও তারা শ্মশান করতে বাধা দিচ্ছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ফয়সাল আহম্মেদ চান্দু জানান, স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় থেকেই ওই স্থানটি শ্মশান হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এছাড়া ওই এলাকাসহ আশেপাশে কোন শ্মশান নেই। যে কারণে শ্মশানটির উন্নয়ন কাজ করা হচ্ছিল। কিন্তু তাতে বাধা দেন স্থানীয় জালাল উদ্দিন মাস্টারসহ কয়েকজন ব্যক্তি। এনিয়ে কয়েকবার শালিশ হয়েছে। শালিশে শ্মশানের পক্ষে রায় হয়েছে। কিন্তু সেটা মানছেননা জালাল উদ্দিনসহ অন্যান্যরা।
তিনি আরো জানান, শ্মশানটির উন্নয়ন হলে হিন্দু সম্প্রদায়ের মৃত ব্যক্তিদের দাহ করার জন্য একটা স্থায়ী ঠিকানা হতো।
এ ব্যাপারে জালাল উদ্দিন মাস্টার বলেন, শ্মশানটির চারপাশের জায়গা তার নিজের। এছাড়াও শ্মশানটির যেখান দিয়ে বাউন্ডারী করা হবে সেই জায়গা তার জমির মধ্যে পড়েছে। আমি তাদেরকে বলেছি আমার জমির উপর দিয়ে বাউন্ডারী করতে দিবো না। এ নিয়ে শালিসে স্থানীয় লোকজনও আমাকে ওই শ্মশানের জন্য কিছু জমি ছেড়ে দেয়ার কথা বলেছেন কিন্তু তাতে আমি রাজি হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!