॥মোক্তার হোসেন॥ আসন্ন পাংশা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান মাছপাড়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক সফুরা খাতুন।
সফুরা খাতুন পাংশা উপজেলার কলিমহর জহুরুন্নেছা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আসাদুজ্জামান খান চুন্নু’র স্ত্রী।
এছাড়া পাংশা পৌরসভা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী, বাংলাদেশ স্কাউটস, পাংশা উপজেলা শাখার নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি, পাংশা-কালুখালী উপজেলা শিক্ষা কল্যাণ ট্রাস্টের নির্বাচিত সদস্য এবং শিক্ষা ও জনকণ্যাণমূলক কাজের সাথে সম্পৃক্ত তিনি।
জানা যায়, ২০১৪ সালে শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জণকারী নারী হিসেবে মহিলা অধিদপ্তর থেকে তাকে জয়িতার সম্মাননা প্রদান করা হয়। পাংশা পৌরসভার নারায়নপুর গ্রামের বাসিন্দা সফুরা খাতুন ১৯৮৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে ¯œাতক ডিগ্রি এবং ১৯৯২ সালে বি.এড ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। ২০১০ সালের ১০ অক্টোবর থেকে পাংশা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মাছপাড়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এর আগে তিনি কসবামাজাইল ইউপির ঐতিহ্যবাহী নাদির হোসেন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। ১৯৮৮ সালের ৩১ আগস্ট শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করেন তিনি। তার স্বামীর বাড়ী পাংশা উপজেলার উদয়পুর গ্রামে এবং পৈত্রিক বাড়ী বৃহত্তর পাংশা উপজেলার বর্তমানে কালুখালী উপজেলার রায়নগর গ্রামে। সফুরা খাতুনের ছোট ভাই আতিউর রহমান নবাব কালুখালী উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের পরপর দুইবার নির্বাচিত বর্তমান চেয়ারম্যান।
পাংশা পৌরসভা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও মাছপাড়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সফুরা খাতুন জানান, মনোনয়নের ক্ষেত্রে দলের প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। সাংগঠনিক কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা পালনের কারণে দল থেকে মূল্যায়িত হয়েছে। পাংশা পৌরসভা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করছি। সুখী, সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়ন এবং রাজবাড়ী-২ আসনের বারবার নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এলাকার উন্নয়নের রূপকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিমের হাতকে শক্তিশালীকরণে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।