ক্রিসমাস বা বড়দিন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। বেথেলহোমের এক গোয়াল ঘরে মা মেরীর কোল আলোকিত করে এ দিনেই জন্ম হয় খ্রিস্টান ধর্মের প্রবর্তক যিশু খ্রিস্টের। হানাহানি আর পাপ পঙ্কিলতায় নিমজ্জিত পৃথিবীতে যিনি প্রচার করেছিলেন অহিংসার বাণী। যার স্পর্শ পাপের আবর্তে নিমজ্জিত থাকা মানুষের অন্তরে দেয় শান্তির পরশ।
হিংসা, বিদ্বেষ, পঙ্কিলতার পথ থেকে মানুষকে উদ্ধার করে তিনি দেখিয়েছেন ভালবাসা, করুণা, মিলন ও সুন্দরের পথ। যিশু খ্রিস্টের পৃথিবীতে আগমন ছিল আনন্দের, মহামিলনের। যিশু খ্রিষ্ট স্বর্গীয় প্রেমকে চূড়ান্তরূপে প্রকাশ করেছেন তাঁর বাক্যে, শিক্ষায় ও মানুষের জন্য তাঁর সেবার কাজে। শুভ বড়দিন উদারতায়, ভালবাসায় ও ক্ষমায় বড় হওয়ার দিন। বড়দিনের আনন্দ হচ্ছে প্রেমময় ঈশ্বরের সংগে অনুতপ্ত মানুষের মিলনের আনন্দ।
শুভ বড়দিন সারা বিশ্বের ন্যায় আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশেও যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবমূখর পরিবেশে উদযাপিত হয়। সারাদেশের ন্যায় ভক্তি, শ্রদ্ধা আর উৎসবমূখর পরিবেশে রাজবাড়ী জেলাতেও জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহায়তায় শুভ বড়দিন উদযাপনের সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন তথা সরকারের এ আয়োজন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের আরও আস্থাশীল, বিদ্যমান সৌহার্দ্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আরও সুদৃঢ় এবং সরকারের ভাবমূর্তিকে আরও উজ্জ্বল করবে।
শুভ বড়দিন উপলক্ষে রাজবাড়ী সাইলাস মিড ব্যাপ্টিস্ট চার্চসহ জেলার অন্যান্য চার্চের সকল সম্মানিত সদস্য এবং রাজবাড়ীতে অবস্থানরত সকল খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
শুভ বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীসহ রাজবাড়ীবাসীর সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করছি এবং একই সাথে ২০১৯ ইংরেজি নববর্ষের অগ্রীম শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
(মোঃ শওকত আলী)
জেলা প্রশাসক
রাজবাড়ী।