শনিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩১ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

১৮ই ডিসেম্বর রাজবাড়ী হানাদার মুক্ত দিবস

  • আপডেট সময় রবিবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ আগামী ১৮ই ডিসেম্বর ঐতিহাসিক রাজবাড়ী মুক্ত দিবস। রাজবাড়ীতে পাকিস্থানীদের দোসর অবাঙ্গালী বিহারীরা ১৯৭১ সালের ৬ই ডিসেম্বরের পর থেকে অতিমাত্রায় তৎপর হয়ে ওঠে। তারা তখনও বুঝতে পারেনি পতন অনিবার্য। তারা সমস্ত শহর দখলে রাখে। ৯ই ডিসেম্বর শহরের লক্ষীকোল এলাকায় বিহারীদের সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের সংঘর্ষ হয়। বিহারীদের গুলিতে রফিক, শফিক ও সাদিক শহীদ হন। বিহারীরা ১৩ই ডিসেম্বর শহরের বিনোদপুর বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রহরীকে হত্যা করে। ১৬ই ডিসেম্বর প্রায় সারা দেশে পাক বাহিনী আতœসমর্পন করলেও রাজবাড়ী শহর তখনো অবাঙ্গালী বিহারীদের আয়ত্তে থাকে। তারা ঘোষনা দেয় সারাদেশ বাংলাদেশ হলেও রাজবাড়ী পাকিস্তান হয়ে থাকবে।
এ সময় জেলার সকল অঞ্চল থেকে মুক্তি বাহিনীর বিভিন্ন দল রাজবাড়ীতে যুদ্ধের উদ্দেশ্যে সংগঠিত হতে থাকে। ইতোমধ্যে শহিদুন্নবী আলম, ইলিয়াস মিয়া, সিরাজ আহম্মেদ, আবুল হাসেম বাকাউল, কামরুল হাসান লালী, রফিকুল ইসলাম তাদের কমান্ডে মুক্তিযোদ্ধারা চারিদিকে ঘিরে রাখে। এদের সাথে জেলার পাংশা থেকে জিল্লুল হাকিম, আব্দুল মতিন, নাসিরুল হক সাবু, আব্দুল মালেক, সাচ্চু, আব্দুর রব তাদের দল নিয়ে যুদ্ধে যোগদান করেন।
অবাঙ্গালী বিহারীরা শহরের রেল লাইনের উত্তর পাশে অবস্থান নেয়। তারা রেলওয়ে লোকোসেড থেকে ড্রাই আইস ফ্যক্টরী পর্যন্ত রেলের মালগাড়ী দিয়ে ব্যূহ তৈরী করে। মুক্তিবাহিনী শহরের দক্ষিণ দিক থেকে গুলি চালাতে থাকে। তবে মালগাড়ী থাকার কারণে কোন ফল হয় না। সে সময় গোলাম মোস্তফা ও আনিসুর রহমান আবি মাগুরার শ্রীপুর থেকে মর্টার আনে। ওই মর্টার দিয়ে গুলি ছুড়লে বিহারীরা পিছু হটে। পরাজয় অনিবার্য মনে করে বিহারীরা আতœসমর্পন করার উদ্দেশ্যে ফরিদপুর অভিমুখে যেতে থাকে। তবে তাদের সে উদ্দেশ্য সফল হয়নি। সে সময় মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে কয়েক হাজার বিহারী নিহত হয়। ওই যুদ্ধে দিয়ানত আলী শহীদ হন এবং ইলিয়াস হোসেন হন গুরুতর আহত। যে কারনে ১৮ই ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয় রাজবাড়ী।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!