মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৫ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

শীতের শুরুতে রাজবাড়ীতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন লেপ-তোষকের কারিগররা

  • আপডেট সময় সোমবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৮

॥চঞ্চল সরদার॥ রাজবাড়ীতে শীতের আমেজ শুরু হয়ে গেছে। শীতের আগমনে বাড়ছে লেপ-তোষকের কদর। বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা গেছে লেপ-তোষক বানানোর কাজে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কারিগররা।
তুলা পট্টির মহাজন তহিদুল ইসলাম জানান, শীতের আমেজ শুরু হলেও এখনো ক্রেতারা লেপ-তোষক তৈরির দোকানগুলোতে সেই ভাবে আসছে না। শীত যত বেশী পড়বে তত বিক্রি ভালো হবে। তবে এসব তৈরি করতে তুলাসহ যেসব মালামালের প্রয়োজন হয় তার দাম আগের বছরের মতই আছে। কারিগরদের লেপ প্রতি ২০ টাকা করে মজুরী বেড়েছে ও তোষক প্রতি ৫০ পয়সা করে বেড়েছে। সে কারণে খরচও একটু বেড়েছে। লেপ তোষকের দাম গেল বছরের চেয়ে একটু বেশি। মাঝারি আকারের একটি লেপ তৈরি করতে পাঁচ কেজি তুলার প্রয়োজন। ৫ কেজি তুলার দাম ৫০০ টাকা। ১০ গজ কাপড়ের দাম ৩৫০ টাকা, সেলাই খরচ লাগে ২০থেকে ৩০ টাকা। আর কারিগরের মজুরি লাগে ১৭০ টাকা। সব মিলিয়ে একটি লেপ তৈরি করতে এক হাজার টাকা খরচ হয়। সেটি বিক্রি হয় এক হাজার তিনশ’ টাকা থেকে এক হাজার পাঁচশ’ টাকা পর্যন্ত। কোয়ালিটি বুঝে এক একটার আলাদা আলাদা দাম যে ভালো জিনিস নিবে তার দাম একটু বেশিই দিতে হবে।
ইংলিশ মার্কেটের বেজম্যান্ট ফ্লোরের লেপ-তোষকের সেলাই শ্রমিক জালু পাঠান বলেন, ‘প্রতিটি লেপ কিংবা তোষক আমরা চুক্তি ভিত্তিক সেলাইয়ের কাজ করি। প্রতিটি লেপ ১৫০ টাকা, তোষক ও জাজিম ৮টাকা কেজি হিসেবে সেলাই বাবদ মজুরী পেয়ে থাকি’।
ইংলিশ সুপার মারর্কেটে লেপ-তোষকের দোকানদার মোঃ সুমন জানান বলেন, শীতের সময় লেপ-তোষকের ব্যাপক চাহিদা থাকে। তাই আমাদের এই সময় সব চেয়ে বেশি ব্যস্ত সময় কাটাতে হয়। আর এই সময়েই আমাদের বিক্রি বেড়ে যায়। তিনি জানান, এবার লেপ বিক্রি হচ্ছে সর্বনিম্ন ৬০০ থেকে সর্বোচ্চ ১২০০ টাকা, তোষক বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকা, জাজিম বিক্রি হচ্ছে ২০০০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকা করে। কোয়ালিটি বুঝে দাম।
গুড় বাজারে তুলা পট্টির লেপ-তোষকের কারিগর হাবিবুর রহমান জানান, ১২ মাসে আমাদের শীতের ৩মাস ভরপুর কাজ করি। এ বছর আমাদের এখানে লেপ প্রতি ২০ টাকা বৃৃদ্ধি করেছে আরো কিছু টাকা বৃদ্ধি হলে ভালো হত।
আমাদের মধ্যে যারা ভালো কাজ করতে পারে তারা ৪/৫টা লেপ সেলাই করতে পাড়ে। এক একটির মজুরী সর্বনিম্ন ১০০ টাকা সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা। আমাদের সবচেয়ে সমস্যা বেশি হল আমাদের কাজ ১২ মাস থাকে না। বছরের অনেকটা সময় বসে থাকা লাগে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!