মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৯ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

পাংশায় হেবা দলিল বাতিল করার কথা প্রকাশ করায় ইনজেকশনের মাধ্যমে শ্বশুরকে হত্যার অভিযোগ

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৮

॥শিহাবুর রহমান॥ পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের বলরামপুরে ৬০শতাংশ জমির হেবা দলিল বাতিল করার কথা প্রকাশ করায় ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে বিষাক্ত ঔষুধ প্রয়োগ করে শ্বশুরকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিহত ব্যক্তির নাম আফসার মন্ডল।
এ অভিযোগে গত ৬ই নভেম্বর রাজবাড়ীর ২নং আমলী আদালতে ৩০২/২০১/৩৪ দঃবিঃ ধারায় মামলা করেছেন নিহতের সেজো মেয়ে হাওয়া বেগম(৩৫)। আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার জন্য পাংশা থানার ওসিকে নির্দেশ প্রদান করেছেন।
মামলায় আফসার মন্ডলের অপর মেয়ে জামাই ইকবাল ফারুক মুক্তার(৪০), মেয়ে জবেদা খাতুন(৩৮), নাতনি মুক্তি বেগম(২১) ও রবিন মন্ডল(২০) এবং একই এলাকার ডাক্তার আইয়ুব(৪০) ও আঃ আজিজ মন্ডল(৫০) আসামী করা হয়েছে।
মামলা সুত্রে প্রকাশ, আফসার মন্ডলের বাড়ীতে ঘর জামাই হিসেবে বসবাত করতেন ইকবাল ফারুক মুক্তার। ঘর জামাই থাকার সুযোগে ২০১৪সালের ২৩ডিসেম্বর আফসার মন্ডলকে ভুল বুঝিয়ে বা কোন প্রকার অচেতন করার ওষুধ খাওয়ায়ে তার কাছ থেকে ৬০শতাংশ জমি হেবা ঘোষণা দলিল মূলে রেজিষ্ট্রি করে নেন জামাই মুক্তার ও সেজো মেয়ে জবেদা খাতুন। জমিটি রেজিষ্ট্রি করে নেয়ার পর বিষয়টি তারা গোপন রাখেন। দীর্ঘ দিন সেটা গোপন থাকার পর জানাজানি হয়ে গেলে আফসার মন্ডল তাদেরকে জানান তিনি কোন জমি হেবা দলিল করে দেননি। এমনকি তিনি ওই জমির দলিল বাতিলের কথাও প্রকাশ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জামাই মুক্তার, মেয়ে জবেদা, নাতনি মুক্তি ও রবিন যোগসাজস করে ডাক্তার আইয়ুব ও আঃ আজিজ মন্ডলের মাধ্যমে গত ২৫জুলাই দুপুরে শরীরে ইনজেকশন দিয়ে বিষাক্ত ঔষুধ প্রয়োগ করে আফসার মন্ডলকে হত্যা করে। এ ঘটনার পর তারা আফসার মন্ডল স্টোক করে মারা গেছে বলে প্রচার করে।
ওই সময়ে তাদের কথায় হাওয়া বেগমসহ আফসার মন্ডলের অন্যান্য মেয়েরা বিশ^াস করে বলরামপুর গোরস্থানে তার দাফন করেন। পরবর্তীতে হাওয়া বেগম জানতে পারেন তার পিতাকে ইনজেকশনের মাধ্যমে বিষাক্ত ঔষুধ প্রয়োগ করে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনার পর হাওয়া বেগম তার পিতাকে হত্যার অভিযোগে উল্লেখিতদের আসামী করে ও কবর থেকে তার লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্ত এবং ফরেনসিক পরীক্ষার মাধ্যমে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের দাবী জানিয়ে গত ১০ অক্টোবর পাংশা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে থানা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অভিযুক্তদের সাথে ২/৩বার শালিস হয়। কিন্তু থানা কর্তৃপক্ষ তার পিতার লাশ কবর থেকে উত্তোলন বা অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড না করায় তিনি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!