॥মোক্তার হোসেন॥ রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে গত ২রা নভেম্বর দুপুরে রবি/২০১৮-২০১৯ মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণের উদ্বোধন করা হয়।
পাংশা উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা কৃষি অফিসার জেসমিন আকতারের সভাপতিত্বে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি রাজবাড়ী-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফরিদ হাসান ওদুদ ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তফা মাহমুদ হেনা মুন্সী বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পাংশা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কাজী এজাজুল করিম।
প্রধান অতিথি মোঃ জিল্লুল হাকিম এমপি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। কৃষি ও কৃষকদের উন্নয়নে বর্তমান সরকার কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করায় দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। তাই কৃষকরা হচ্ছেন দেশের উন্নয়নের চাবিকাঠি।
তিনি বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের নানা তথ্য উপস্থাপন করে বলেন, চলতি মাসের ১৪ তারিখে নাদুরিয়া ঘাটে গড়াই ব্রিজের টেন্ডার হবে। পাংশা কলেজ, পাংশা জর্জ পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, বালিয়াকান্দি কলেজ, বালিয়াকান্দি গার্লস হাই স্কুল, কালুখালী কলেজ, কালুখালীর রতনদিয়া রজনীকান্ত মডেল উচ্চ বিদ্যালয় সরকারীকরণ এবং এলাকায় বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ব্রিজ-কার্লভাট প্রভৃতি উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এলাকার মানুষ এখন শান্তিতে ঘুমাতে পারছে। কৃষকরা এখন চাহিদামত সার পাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়। দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে জাতিসংঘ স্বীকৃতি দিয়েছে। উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহবান জানান তিনি। এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত কৃষকরা হাত উঁচু করে নৌকা প্রতীকে ভোট প্রদানের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ রোকনুজ্জামান। অনুষ্ঠানে অবসরপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ এ.এফ.এম শফী উদ্দিন পাতাস্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, সুবিধাভোগী মোট ৯৯৫জন কৃষকের মধ্যে ৫৫০জনের সরিষা বীজ, ২শ’ জনের ভুট্টা বীজ, ১৪০ জনের তিল বীজ, ১শ’ জনের মুগডালের বীজ ও ৫জনকে বিটি বেগুনের বীজ এবং প্রত্যেক কৃষকের মাঝে ২০ কেজি করে ডিএপি সার ও ১০ কেজি করে এমওপি সার বিতরণ করা হয়।