॥স্টাফ রিপোর্টার॥ চাঁদাবাজীর মামলায় পাংশা উপজেলার দুই সাংবাদিককে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। গতকাল ৩০শে অক্টোবর রাজবাড়ীর ২নং আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু হাসান খায়রুল্লাহ এ আদেশ দেন।
এরা হলেন ঃ পাংশা উপজেলার বিলগজারিয়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি শামিম রেজা(৩৭) ও একই উপজেলা পাটকিয়াবাড়ী গ্রামের ভাদু সরদারের ছেলে দৈনিক শিকল পত্রিকার প্রতিনিধি মাসুদ রানা বাদশা(৫২)।
এদের মধ্যে মাসুদ রানা বাদশা নিজেকে সাংবাদিক বলে পরিচয় দিলেও মূলত তিনি পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্মীয় সম্পাদক এবং পাংশা উপজেলার দলিল লেখক ও ভেন্ডার সমিতির সহ-সভাপতি। এছাড়াও তিনি বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য ছিলেন।
পাংশা উপজেলার যশাই ইউপির চর দুর্লভদিয়া গ্রামের ঠিকাদার খন্দকার তোফাজ্জেল হোসেনের মামলার আরজিতে অভিযোগ করা হয়, তিনি পাংশা উপজেলার চরদুর্লভদিয়া মৌজার একটি রাস্তা মেরামতের কাজ পেলে এস.এম রাসেল কবীর, মাসুদ রানা বাদশা ও শামীম রেজা তার কাছে ১লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। তিনি চাঁদা না দেয়ায় গত ২৫শে জুন বিকালে তারা তাকে(তোফাজ্জেল হোসেনকে) মারপিট করাসহ তার নিকট থেকে লেবার পেমেন্টের ১০হাজার টাকা জোরপূর্বক কেড়ে নেয় এবং অবশিষ্ট ৯০হাজার টাকা ৭দিনের মধ্যে না দিলে তার জীবননাশের হুমকী দেয়।
এ ঘটনায় ঠিকাদার খন্দকার তোফাজ্জেল হোসেন বাদী হয়ে উল্লেখিতদের বিরুদ্ধে গত ৮ই জুলাই রাজবাড়ীর ২নং আমলী আদালতে দন্ড বিধির ৩২৩/৩০৭/৩৮৫/৩৮৬/৩৮৭/৫০৬(২) ধারায় মামলা করেন। সি.আর মামলা নং-৪৪৪/১৮।
এ মামলায় গতকাল ৩০শে অক্টোবর উল্লেখিতরা আসামীরা স্বেচ্ছায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের প্রার্থনা করেন। বিজ্ঞ আদালত দৈনিক ইত্তেফাকের পাংশা প্রতিনিধি এস.এম রাসেল কবিরের জামিন মঞ্জুর করলেও শামিম রেজা ও বাদশার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারের নির্দেশ প্রদান করে।