শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৫৫ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

স্থানীয় সংবাদপত্রের ইতিহাসের মাইলফলক রাজবাড়ীর দৈনিক মাতৃকণ্ঠ জাতিসংঘে॥ ১৫বছরে পদার্পনে সংগ্রামী অভিনন্দন

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৮

#এডঃ লিয়াকত আলী বাবু# আজ ৩০শে অক্টোবর রাজবাড়ীর দৈনিক মাতৃকণ্ঠ প্রকাশনার এক সোনালী স্বপ্ন পূরনের দিন। আজ থেকে চৌদ্দ বছর আগে ঘোর অমানিশার অন্ধকার ভেদ করে রাজবাড়ীর আকাশে উদিত হয়েছিল এক দীপ্ত প্রত্যয়ের সোনালী সূর্য। তার নাম “দৈনিক মাতৃকণ্ঠ”।
মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত এবং সেই সোনালী স্বপ্নের সোপান বেয়ে এক অসীম দুরন্ত সাহসে রাজবাড়ীতে জন্ম নিয়েছিল গণমানুষের মুক্তকথার মুখপত্র ‘দৈনিক মাতৃকণ্ঠ”। অনেক চড়াই উৎড়াই পার হয়ে ’দৈনিক মাতৃকণ্ঠ” আজ দুরন্ত যৌবনধারী এক সাহসী যুবক। জেলা শহর থেকে দৈনিক পত্রিকা চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া একটা দুঃসাহসিক সিদ্ধান্তই বটে। সকল জন্মের সাধারণ নিয়মের মত দৈনিক মাতৃকণ্ঠ’র অনেক ঘাত প্রতিঘাত মোকাবেলা করতে হয়েছে। সেদিন অংকুরিত হওয়ার পর পরই শত্র“র শির নেহারিতে দাও দাও করে জ্বলে উঠে প্রতিহিংসার দাবানল। অংকুরেই গলাটিপে হত্যা করার জন্য তৈরী করা হয়েছিল নীল নক্সার এক গভীর ষড়যন্ত্র। জন্মের আঁতুর ঘরেই যেন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে বাধ্য হয় এমনই ষড়যন্ত্রের গভীরতা। চারিদিকে ছিল রক্ত লোলুপ ভয়ঙ্কর হিংস্র থাবা। যে করেই হোক ভূমিষ্ট হওয়ার পরই তাঁকে পুঁতে ফেলতে হবে অসীম অন্ধকারের মাঝে। চলতে থাকে এমনই সব নির্মম গোপন গবেষনা। কিন্তু ঐ যে “সত্যের জয় অবশেষে অবধারিত হয়ই হয়”। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ২০০৪ সালের ৩০শে অক্টোবর খোন্দকার আব্দুল মতিনের সম্পাদনায় জন্ম হলো মাতৃকন্ঠ’ নামের সেই বহু সাধনার দৈনিক পত্রিকা। সেদিন কিছুতেই ঠেকানো যায় নাই সেই অজেয় সত্যব্রতী দূর্জয় নন্দনের সাহসী জন্মকে।
জন্মেই জয়ের মুকুট মাথায় নিয়ে ঘোষণা দিল ‘আমি মহাবিপ্লবী মহাসৃষ্টির সোনালী উপহার, আমি দীপ্ত প্রত্যয়ী প্রতিবাদী দাবানল, ধ্বংস জিঘংসার। সেদিনের সেই ছোট্র শষ্যদানার অংকুরায়নের “দৈনিক মাতৃকণ্ঠ’ পত্রিকা আজ রাজবাড়ী জেলার জন্য এক বিশাল শির নেহারী মহিরুহ। আজ সেই ছোট্র শিশুটি যুগ পেরিয়ে যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে ছুটছে শতবর্ষের দিকে দুর্জয়ী নিত্য নতুনের বিজয় বার্তা নিয়ে।
রাজবাড়ী একটি ছোট্ট জেলা শহর। সেই শহরে একটি দৈনিক পত্রিকা তার নিজের পায়ের উপর ভর করে ফুল পল্বব আর ফলে ফলে জীবন ধারণ করিয়ে রাখানো যেন সাগর সেঁচে মানিক পাওয়ার মতই এক অসাধ্য সাধন করা কর্মযজ্ঞই বটে। রাজবাড়ীর ‘দৈনিক মাতৃকণ্ঠ’ পত্রিকাটি এ অঞ্চলের সকল শুভানুধ্যায়ী সহযোদ্ধাদের কাছ থেকে যে আন্তরিক স্নেহ ভালবাসা ও সাহায্য সহযোগিতা পেয়ে আসছে তা যেমন মহাসাগরের মত গভীর তেমনই ভাবে আকাশের মত দূর নিলীমায় অন্তহীন। এর প্রতিদান কখনোই নিরুপনযোগ্য নয়। আর সে কারণেই ‘দৈনিক মাতৃকণ্ঠ’ তার সকল শুভানুধ্যায়ী ও সুহৃত পাঠকের কাছে জানায় সোনালী দিনের নতুনত্বের বার্তা। আর সে কারনেই ‘দৈনিক মাতৃকন্ঠ’ সত্য প্রকাশে সাহসী ও বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশনের জন্য আজ পাঠকের কাছে এত সমাদৃত। এভাবেই ‘দৈনিক মাতৃকণ্ঠ’ এক যুগ পার করে ১৫তম বর্ষে পা রাখতে যাচ্ছে সত্য প্রকাশে দুঃসাহসিকতাপূর্ণ ধারাবাহিকতা নিয়ে। এরমাঝে একদিনের জন্যও তাকে অনিয়মিত পত্রিকার দুর্নাম কাঁধে তুলতে হয় নাই।
প্রকৃত পক্ষে কোন পত্রিকা যখন তার মানদন্ড ধুলোয় লুটায়ে নিজের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার মাধ্যম হিসাবে সাধারণ মানুষ ও সমাজের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হতে যায় তখন আর তার স্বাভাবিক কোন মান থাকে না। তখন সে হয়ে যায় সমাজের বিনিময় অযোগাগ্য এক অচল সিকি। সেদিক থেকে ‘দৈনিক মাতৃকণ্ঠ’ কখনোই কারোর প্রতি প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে সমাজে কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করার মত নিচু মনের পরিচয় দিয়ে নিজেই নিম্নমানের দিকে নেমে যায় নাই। কারণ একটা পত্রিকা প্রকাশনা করা মানেই মহাযজ্ঞের এক নিরবিছিন্ন বিশাল বৈষয়িক এবং শৈল্পিক সাধনার ব্যাপার। নিজেকে নিরঙ্কুশ নিরপেক্ষ রেখে সেই বিশাল যজ্ঞের যুপকাষ্ঠতায় নিজেকে অহংকারহীন এবং সাহসী সাবলিল ভঙ্গিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই হলো এ পেশার প্রকৃত সাফলতা।
রাজবাড়ী জেলার গণমানুষের মুখপত্র ‘দৈনিক মাতৃকণ্ঠ’ সেই সফলতাই পেয়েছে। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে ডিজিটাল প্রযুক্তির কল্যাণে রাজবাড়ীসহ দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্বব্যাপিও আজ ‘দৈনিক মাতৃকণ্ঠ’র ব্যাপক সুনাম ও গ্রহণযোগ্যতাময় চাহিদা ব্যাপক। আর সে করণেই পাঠকের চাহিদা পুরনে ‘দৈনিক মাতৃকণ্ঠ’ যেন সবসময়ই বদ্ধপরিকর। স্থানীয়, জাতীয়, আন্তর্জাতিক এবং বিনোদন পূর্ণ সবধরনের সংবাদের সাপ্তাহিক আয়োজন দিয়ে পাঠকের চাওয়া পাওয়া’র পরিপূর্ণতা এনে দেয় ‘দৈনিক মাতৃকণ্ঠ’।
এভাবেই দিনে দিনে ‘দৈনিক মাতৃকণ্ঠ’ দীপ্ত প্রত্যয়ী দৃঢ়তায় ডিজিটাল দুনিয়ার সাথে সমান তালে তাল মিলিয়ে অনলাইন সংস্করণ, ই-পেপার ও স্যোশাল মিডিয়া ফেসবুকের মাধ্যমে দেশ পেরিয়ে অসীম সাহসে সমাদৃত হচ্ছে বিশ্বব্যাপী।
১৫তম বর্ষে পর্দাপনের প্রাক্কালে আকাশ ছুঁয়ে ‘দৈনিক মাতৃকণ্ঠ’ পৌছেছে বিশ্বসংস্থা ‘জাতিসংঘে’। জাতিসংঘের চলতি ৭৩তম অধিবেশনে সংবাদ কভারেজের জন্য গত ২২শে সেপ্টেম্বর-২০১৮ তারিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী সাংবাদিক হিসেবে সরকারী সফরে দৈনিক মাতৃকণ্ঠ সম্পাদক খোন্দকার আব্দুল মতিন গিয়েছেন আমেরিকার নিউইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘ সদর দপ্তরে। এজন্য দৈনিক মাতৃকণ্ঠের পাঠকদের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। দৈনিক মাতৃকণ্ঠের এ অর্জন- রাজবাড়ী জেলাবাসীর জন্য গৌরবের। এ অর্জন রাজবাড়ী জেলা তথা বৃহত্তর ফরিদপুরের সংবাদপত্র প্রকাশনা বা সাংবাদিকতার ইতিহাসের মাইলফলক। এ অর্জন আগামী দিনে পত্রিকাটির বিরামহীন ছুটে চলার অর্জন।
দৈনিক মাতৃকণ্ঠের সফল সম্পাদক ও প্রকাশক খোন্দকার আব্দুল মতিনের সম্পাদনায় ১৯৯৮ সালের ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে “সাপ্তাহিক সাহসী সময়” নামক পত্রিকার প্রথম প্রকাশনা হয়। জেলা ও পাশ্ববর্তী এলাকার অগনিত পাঠকের অনুপ্রেরণায় ২০০৪ সালের ৩০শে অক্টোবর দৈনিক মাতৃকণ্ঠের আত্মপ্রকাশ ঘটে। প্রকাশনা শুরুর দীর্ঘ সাড়ে ৪বছর ২০০৮ সালের আগস্টে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে মাতৃকণ্ঠ সরকারী মিডিয়া তালিকাভুক্ত হয়। প্রকাশনার পর থেকে পত্রিকার কলেবর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আমরা যারা দৈনিক মাতৃকণ্ঠ’র শুভানুধ্যায়ী, সুহৃদ এবং সময়ের সহমর্মী সহযোদ্ধা তারা ‘দৈনিক মাতৃকণ্ঠ’ আজকের ১৫তম জন্মদিনে জানাই জয়তু শুভ সংগ্রামী শুভেচ্ছা। ‘দৈনিক মাতৃকণ্ঠ’ পত্রিকার চলার পথ হোক পঙ্কিলতাহীন প্রশস্ত প্রবরনামূখর এবং হয়ে উঠুক শতবর্ষের সূর্য তরুন আলোক বর্তিকা। আলোকিত করুক অনাগত ভবিষৎ আর ইতিহাস হয়ে থাক এ অঞ্চলের প্রকাশনা জগতের পথিকৃত হয়ে। শুভেচ্ছান্তে শুভানুধ্যায়ী সুহৃদ পাঠক। লেখক ঃ মুক্ত কলামিষ্ট ও আইনজীবী।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!