সংবাদ শিরোনাম ::
॥মোক্তার হোসেন॥ রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী গতকাল ১৭ই অক্টোবর রাতে পাংশা উপজেলার বিভিন্ন পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে তিনি সকলকে শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সকলের। দুর্গোৎসব আজ সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই বিরল দৃষ্টান্ত অব্যাহত রাখার আহবান জানান তিনি।
রাত সোয়া ৮টার দিকে জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী প্রথমে পাংশা শহরের স্টেশন বাজার কেন্দ্রীয় দূর্গা মন্দির পরিদর্শন করেন। পরে শহরের ভাই ভাই সংঘ পূজা মন্দির, পুরাতন বাজার হেমাঙ্গিনী মাতৃ মন্দির, ঘোষপাড়া সার্বজনীন পূজামন্দিরসহ বিভিন্ন পূজা মন্দির পরিদর্শন করেন তিনি। ভাই ভাই সংঘ পূজা মন্দিরে মঙ্গল প্রদ্বীপ প্রজ্জ্বলন করেন জেলা প্রশাসক। সেখানে পাংশা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুব্রত কুমার দাস সাগর ও সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুন্ডু জেলা প্রশাসককে ফুলেল অভ্যর্থনা জানান। এ সময় পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফরিদ হাসান ওদুদ, পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ হাবিবুল্লাহ, রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সদস্য, ভাই ভাই সংঘ পূজা মন্দিরের সভাপতি ও পাংশা উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি উত্তম কুমার কুন্ডু, পাংশা উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মাহাবুব হোসেন, রোটারী ক্লাবের প্রেসিডেন্ট দীনা খন্দকার প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
কালুখালীর বিভিন্ন দুর্গাপূজা মন্ডপ পরিদর্শন ঃ রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী গতকাল ১৭ই অক্টোবর সন্ধ্যায় কালুখালী উপজেলার বিভিন্ন দুর্গাপূজা মন্ডপ পরিরদর্শন করেন।
তিনি উপজেলার সবচেয়ে বড় দুর্গাপূজা মন্ডপ শ্রী শ্রী মদন মোহন জিউ মন্দিরে গিয়ে সেখানকার সকল বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন। এ সময় সেখানে কালুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী সাইফুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া ইসলাম লুনা, রতনদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাচিনা পারভীন নিলুফা, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তনয় চক্রবর্তী শম্ভু, সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার সাহা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন মোল্লা, রতনদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম শাহ আজিজ, পূজা মন্দিরের সভাপতি সুজিত কুমার সাহা ও সাধারণ সম্পাদক সুবোধ কুমার সাহাসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখে পূজা উদযাপন করতে হবে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
