॥আবুল হোসেন॥ রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া তিন নম্বর ফেরী ঘাটে গত ১৫ই অক্টোবর দিনগত রাত আড়াইটার দিকে রুকাইয়া নামের সাড়ে চার বছর বয়সী এক কন্যা শিশু ফেরী থেকে পদ্মা নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয়েছে।
সে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলা শহরের সেলিম রেজার মেয়ে। খবর পেয়ে গতকাল ১৬ই অক্টোবর সকাল থেকে রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিস ও মানিকগঞ্জের ডুবুরী এসে ফেরী ঘাটে অনুসন্ধান চালায়। দুপুর পর্যন্ত শিশুটির হদিস মেলেনি। সন্তান হারিয়ে পদ্মা পাড়ে স্বজনদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।
শিশুটির বাবা সেলিম রেজা জানান, অসুস্থ্য শ্যালকের স্ত্রী’কে ঢাকা নেয়ার উদ্দেশ্যে গত সোমবার রাতে তারা শৈলকুপা থেকে মাইক্রোবাসে রওনা দেন। রাত সোয়া দুইটার দিকে তিন নম্বর ঘাটে রজনীগন্ধা নামের একটি ফেরীতে ওঠেন। তাদের সাথে অন্যান্য গাড়ীও ওঠে। ফেরীতে ওঠার পর ওয়াশরুমে যাওয়ার জন্য রুকাইয়াকে নিয়ে মা জেসমিন আক্তার মাইক্রোবাস থেকে বের হয়। তাকে রেখে ওয়াশরুম থেকে ফিরে এসে দেখে রুকাইয়া যেখানে দাঁড়িয়ে ছিল সেখানে নেই। ফেরীতে থাকা কয়েকজন তাকে জানায় একটি বাস ফেরীতে ওঠার শব্দে ভয়ে শিশুটি দৌড় দিলে পদ্মায় পড়ে যায়। পরে অন্যরা চলে গেলেও তারা ফেরী থেকে নেমে হন্য হয়ে সন্তানকে খুঁজতে থাকেন।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক(বাণিজ্য) শফিকুল ইসলাম বলেন, কিভাবে শিশুটি নদীতে পড়ে যায় তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছে না।
রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট লিডার বিল্লাল হোসেন খলিফা জানান, ভোর থেকে ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে। ডুবুরী না থাকায় মানিকগঞ্জ থেকে ডুবুরী আনা হয়েছে। দুপুর পর্যন্ত খোঁজ করেও শিশুটিকে পাওয়া যায়নি। মনে হচ্ছে স্রোতে ভেসে যেতে পারে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি এজাজ শফি জানান, শিশুটি ফেরী থেকে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় বিআইডব্লিউটিসি’র পক্ষ থেকে থানায় জিডি করা হয়েছে।