॥হেলাল মাহমুদ॥ সরকারী অর্থ আত্মসাতের মামলায় রাজবাড়ী প্রধান ডাকঘরের সাবেক ৩জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ১৩বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে ফরিদপুরের বিশেষ জজ আদালত। এছাড়াও আদালত তাদেরকে ৩৩লক্ষ ৪৫হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
গত ৩রা অক্টোবর ফরিদপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোঃ মতিয়ার রহমান এ রায় দেন। দন্ডিতরা হলো ঃ রাজবাড়ীর প্রধান ডাকঘরের সাবেক সহকারী পোস্টমাস্টার গোয়ালন্দ উপজেলার ক্ষুদিরাম সরকারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রমেন কুমার চক্রবর্তী, একই ডাকঘরের সাবেক ট্রেজারার পাংশা উপজেলার রামকোল গ্রামের বাসিন্দা সমর কুমার বিশ্বাস এবং পেকার কাম মেইল ক্যাশিয়ার রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের বাসিন্দা আক্কাস আলী মোল্লা। রায় ঘোষণার সময় রমেন কুমার চক্রবর্তী ও সমর কুমার বিশ্বাস আদালতে উপস্থিত ছিল। অপর আসামী আক্কাস আলী মোল্লা পলাতক রয়েছে।
এ বিষয়ে রাজবাড়ীর প্রধান ডাকঘরের পোস্টমাস্টার বি.এম নজমুল হুদা মাতৃকণ্ঠকে বলেন, সাবেক ৩জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাজা হওয়ার বিষয়টি আমরা শুনেছি। তারা যে কাজ করেছিলেন তা কোনভাবেই কাম্য নয়। এতে করে ডাক বিভাগের যথেষ্ট সুনাম ক্ষুণœ হয়েছে। তারা তাদের কৃতকর্মের ফল পেয়েছে।
উল্লেখ্য, আসামীগণ পরস্পর যোগসাজসে ২০০২ সালের ২২শে সেপ্টেম্বর থেকে একই বছরের ২৪শে নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় দুই মাসে প্রতারনার মাধ্যমে রাজবাড়ীর প্রধান ডাকঘরের সঞ্চয় ব্যাংক সাধারণ হিসাবের দৈনিক সিডিউল, এসবি জার্নালে প্রদর্শিত প্রকৃত খরচের চেয়ে হ্যান্ড টু হ্যান্ড রশিদ বহি, হেড অফিস সামারী ও হেড অফিস ক্যাশ বহিতে অতিরিক্ত খরচ দেখিয়ে ট্রেজারী থেকে ১১ লাখ ৩০হাজার টাকা উত্তোলন পূর্বক আত্মসাত করেন। দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে ২০০৯ সালের গত ২৭শে আগস্ট থানায় মামলা দায়ের করেন দুদক ফরিদপুর কার্যালয়ের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মোহাঃ আবুল হোসেন। রাজবাড়ী থানায় মামলা নং-২৭, তাং-২৭/৮/০৯, ধারা ৪২০/৪০৯/১০৯ দঃ বিঃ এবং তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২)। তদন্তের শেষে একই কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক খলিলুর রহমান আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।