॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী শহরের চরলক্ষীপুরে গতকাল ৫ই সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে কড়ই গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় পরিবহন শ্রমিক শিপন শেখ(১৮) এর মৃতদেহ থানা পুলিশ উদ্ধার করেছে।
সে ওই গ্রামের সামাদ শেখের ছেলে। পরিবারের দাবী শিপনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মৃত গাছের ডালের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
নিহতের মা ছাবিয়া বেগম জানান, কোরবানীর ঈদের দুই সপ্তাহ আগে একই এলাকার বাসিন্দা সিআইডি পুলিশ সদস্য হাসানের নির্মাণাধীন বাড়ীর মোটর চুরি হয়। ওই মোটর চুরির সাথে তার ছেলে শিপনসহ ৬জন জড়িত ছিল। মোটর চুরির বিষয়ে সিআইডি পুলিশ হাসান আমার ছেলে শিপনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে চুরির ঘটনা স্বীকার করে এবং অন্যান্য জড়িতদের নাম প্রকাশ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয় জড়িতরা। এ জের ধরে গত ৩০শে আগস্ট রাতে একই এলাকার নাদিম ও হাবিব আমার ছেলে শিপনকে মারপিট করে। এরপর থেকে শিপন আর বাড়ি ফেরেনি। তবে তার সাথে মোবাইলে কথা হতো। গতকাল ৫ই সেপ্টেম্বর সকাল ৬টার দিকে বাড়ীর একটু অদূরে কড়ই গাছের সাথে শিপনের মৃতদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
তিনি দাবী করেন পরিকল্পিতভাবে নাদিম, হাবিব, শান্ত, সোহান, আদর ও তাদের সহযোগিরা তার ছেলে শিপনকে হত্যা করে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখে।
স্থানীয়রা জানায়, মোটর চুরির অভিযোগে কয়েকদিন আগে হাসান নিজেই শিপনকে মারপিট করে। এ হত্যাকান্ডের সাথে সে জড়িত। এছাড়াও সে এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা সাপ্লাই দেয়। পুলিশের লোক হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলার সাহস পায় না। তবে বেশ কিছু দিন আগে ইয়াবা বিক্রির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে রাজবাড়ী থেকে অন্যত্র বদলী করা হয়।
এ বিষয়ে মোবাইলে জানতে চাওয়া হলে সিআইডি পুলিশ হাসান বলেন, আমার বাসার মোটর চুরি হয়েছে। তবে এর বাইরে আমি কিছুই জানি না। আমি কক্সবাজারে কর্মস্থলে আছি। আমার বিরুদ্ধে ইয়াবা বিক্রির অভিযোগও সত্য নয়।
রাজবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ তারিক কামাল জানান, সকাল ১০টার দিকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা এখনই বলা যাচ্ছে না। লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।