সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

রাজবাড়ীর প্রয়াত সাংসদ ওয়াজেদ চৌধুরীর ২৬তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৩১ জুলাই, ২০১৮

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ট সহচর রাজবাড়ী জেলার কৃতি সন্তান ও রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক প্রয়াত সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এডঃ আব্দুল ওয়াজেদ চৌধুরীর ২৬তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ।
এ উপলক্ষে তার পরিবারের উদ্যোগে এবং জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও গোয়ালন্দ উপজেলার কাটাখালীতে মরহুমের গ্রামের বাড়ীতে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মরহুম এডঃ আব্দুল ওয়াজেদ চৌধুরী ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগি। তিনি ছিলেন ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের অগ্রণী সৈনিক। ১৯৫৪ সালে তিনি যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হয়ে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে এ এলাকা থেকে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬০ সালে তিনি যশোর জেলা মুন্সেফ হিসেবে চাকুরীতে যোগ দেন। কিন্তু ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে চাকুরী ছেড়ে আবার প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে চলে আসেন। ওই সময় তিনি গোয়ালন্দ মহকুমা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পান। ১৯৭১ সালে জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় ঘুরে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করেন এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে শুরু করেন দলকে সংগঠিত করার কাজ। সাথে সাথে চলে তার আইন পেশা। দীর্ঘদিন তিনি রাজবাড়ী জেলা বার এসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭৫-এর ১৫ই আগস্টের বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সামরিক শাসকেরা অনেক লোভনীয় সুবিধার প্রস্তাব দিলেও তিনি কখনো গণতান্ত্রিক সংগ্রামের আন্দোলন থেকে পিছু হটেননি। ১৯৭৫ সাল থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
এরশাদের শাসনামলে ১৯৮৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজবাড়ী-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তিনি(এডঃ আব্দুল ওয়াজেদ চৌধুরী আলী চৌধুরী) নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পান ২০ হাজার ১৯৩ ভোট। ওই নির্বাচনে জাতীয় পার্টির আক্কাস আলী মিয়া লাঙ্গল প্রতীকে ৩৪ হাজার ৪৭৭ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
পরবর্তীতে ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ(১৯৯১-১৯৯৬) নির্বাচনে রাজবাড়ী-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এডঃ আব্দুল ওয়াজেদ চৌধুরী(নৌকা) প্রতীকে ৩৩ হাজার ১৮৭ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপির প্রার্থী এডঃ এম.এ খালেক(ধানের শীষ) প্রতীকে পান ৩০ হাজার ৪৮৯ ভোট। সংসদ সদস্য থাকাকালে তিনি(এডঃ আব্দুল ওয়াজেদ চৌধুরী) ১৯৯২ সালের ৩১শে জুলাই হৃদযন্ত্রের ক্রীড়া বন্ধ হয়ে তিনি ইন্তেকাল করেন।
এরপর ১৯৯২ সালের ১৩ই অক্টোবর রাজবাড়ী-১ আসনের অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে কাজী কেরামত আলী ৪১ হাজার ৯৬২ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপির প্রার্থী এডঃ এম.এ খালেক পেয়েছিলেন ৩৬ হাজার ৯৬ ভোট।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!