সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৪২ পূর্বাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

বঙ্গোপসাগরে নৌ বাহিনীর সমুদ্র মহড়া সেফ গার্ড-২০১৬ সমাপ্ত

  • আপডেট সময় রবিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৬

বঙ্গোপসাগরে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণসহ আধুনিক সমর কৌশল প্রদর্শন ও সন্ত্রাস বিরোধী কমান্ডো অপারেশনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর বাৎসরিক সমুদ্র মহড়া এক্সারসাইজ ‘সেফ গার্ড-২০১৬’ গতকাল শনিবার সমাপ্ত হয়েছে।
চারটি ধাপে দীর্ঘ ১৫দিনব্যাপী নৌ বাহিনীর ৫৩টি যুদ্ধজাহাজ, সকল ঘাঁটি, মেরিটাইম পেট্রোল এয়ার ক্রাফট, হেলিকপ্টার, হাই স্পিড বোট ও আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত নৌ কমান্ডো দলসহ নৌ সদস্যদের সম্মিলিত প্রস্তুতি গ্রহণ শেষে সমাপনী দিনে কাল্পনিক শত্র“পক্ষকে সফলভাবে নির্মূল করার মাধ্যমে এই মহড়া সম্পন্ন হয়। এই সমুদ্র মহড়ার মাধ্যমে দেশের বিশাল জলসীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি সমুদ্রে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধ, গভীর সমুদ্রে উদ্ধার তৎপরতা, মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ, তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের ব্লকসমূহে অধিকতর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সার্বিকভাবে দেশের ব্লু-ইকোনমির উন্নয়নে বাংলাদেশ নৌ বাহিনী আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
‘সেফ গার্ড-২০১৬’-এর চুড়ান্ত দিনে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিভিন্ন মহড়া প্রত্যক্ষ করেন। এরআগে প্রধান অতিথি বানৌজা বঙ্গবন্ধু তে এসে পৌঁছালে নৌ বাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদ, এবং কমান্ডার বিএন ফ্লিট কমডোর শেখ আরিফ মাহমুদ তাঁকে স্বাগত জানান। এ সময় নৌ বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল প্রধান অতিথিকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।
উক্ত মহড়ায় উল্লেখযোগ্য অংশ ছিল নৌ বহরের বিভিন্ন কলাকৌশল অনুশীলন, সমুদ্র এলাকায় পর্যবেক্ষণ, অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান, লজিষ্টিক অপারেশন, ল্যান্ডিং অপারেশন, উপকূলীয় এলাকায় অবস্থিত নৌ স্থাপনাসমূহের প্রতিরক্ষা মহড়া ইত্যাদি। এতে বাংলাদেশ সেনা, বিমান ও কোস্ট গার্ডসহ দেশের বিভিন্ন মেরিটাইম সংস্থা প্রত্যক্ষ/পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করে। মহড়ার শেষ দিনে নৌ বাহিনীর জাহাজসমূহ হতে ভুমি থেকে ভুমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র, ভুমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র, বিমান বিধ্বংসী কামানের গোলা বর্ষণ, সাবমেরিন বিধ্বংসী গোলা নিক্ষেপ, সারফেস ফায়ারিং, হেলিকপ্টার ডেক ল্যান্ডিং, সোয়াডস ও কমান্ডো টিম কর্তৃক গভীর সমুদ্রে শত্র“পক্ষ দ্বারা অধিকৃত জাহাজ এবং অপহৃত ব্যক্তিদের উদ্ধারের মহড়াসহ বিভিন্ন সমর কৌশল প্রদর্শিত হয়। মহড়ার শেষ পর্যায়ে এতে অংশগ্রহণকারী নৌ বাহিনীর সকল জাহাজ এবং বোটসমূহ স্টীম পাস্ট এবং মেরিটাইম পেট্রোল এয়ার ক্রাফট ও হেলিকপ্টার ফ্লাই পাস্টের মাধ্যমে প্রধান অতিথিকে সম্মান প্রদর্শন করে।
মহড়া শেষে প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের সকল কর্মকর্তা ও নাবিকদের সফলভাবে অনুষ্ঠিত এই মহড়ার জন্য সকল নৌ সদস্যকে অভিনন্দন জানান এবং নৌ সদস্যদের পেশাগতমান, দক্ষতা ও কর্মনিষ্ঠার প্রশংসা করেন। প্রধান অতিথি দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং সমুদ্র সম্পদ রক্ষা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য একটি শক্তিশালী নৌ বাহিনী গঠনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের কথা উল্লেখ করেন। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে তিনি বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অব্যাহত প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেন। সেই সাথে তিনি বঙ্গোপসাগরে বিশাল সমুদ্রসীমা রক্ষার পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর সক্রিয় ভূমিকারও প্রশংসা করেন।
নৌ মহড়ার সমাপনী দিনে অন্যান্যের মধ্যে উচ্চ পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিবর্গ, নৌ সদর দপ্তরের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারগণ ও পদস্থ নৌ কর্মকর্তা, নাবিকগণ এবং গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন -আইএসপিআর।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!