॥স্টাফ রিপোর্টার॥ সীমিত পরিসরে গতকাল ২৩শে জুন রাজবাড়ীতে আওয়ামী লীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৮টায় রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় সঙ্গীতের তালে তালে জাতীয় ও দলীয় পতাকাসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের পতাকা উত্তোলন করা হয়।
পতাকা উত্তোলন শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডাঃ শেখ আব্দুস সোবহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। আলোচনা সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হেদায়েত আলী সোহরাব, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বার এসোসিয়েশনের সভাপতি এডঃ শফিকুল আজম মামুন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এডঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম, সদস্য আঃ সালাম মন্ডল, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার সাইফুদ্দিন হাবিব, জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আবুল হোসেন সিকদার, জেলা যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী মীর মাহফুজা খাতুন মলি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান হাফিজ, জেলা কৃষক লীগের সদস্য-সচিব আবু বক্কর খান, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম এরশাদ, পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খান মোঃ জহুরুল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তাগণ বলেন, বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ১৯৭৫ সাল পরবর্তী রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেন তারা।
জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে হেদায়েত আলী সোহরাব বলেন, ৭৫ পরবর্তী আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত না থাকলেও আজ অনেকেই জেলা আওয়ামী লীগের বড় নেতা হয়েছে। প্রয়াত সংসদ সদস্য ওয়াজেদ আলী চৌধুরীর বাসা ছাড়া ১৯৭৫ সালের পরে রাজবাড়ীতে আওয়ামী লীগের কোন অফিস ছিল না। নজিবর রহমান, কেষ্টরা এখন আওয়ামী লীগের সাথে নাই। তারা হারিয়ে গেছে। কেষ্ট অসুস্থ্য হয়ে মানিকগঞ্জে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে, অথচ আজ আওয়ামী লীগ তার পাশে নাই। আগামী নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য যুদ্ধের মতো। এজন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার কোন বিকল্প নেই। নৌকা প্রতীক দেয়ার মালিক জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি যাকে ভালো মনে করবেন, তাকে মনোনয়ন দিবেন। আমাদের কাজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রার্থীকে নির্বাচিত করা।
উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকায় গণভবনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় জেলা, উপজেলা ও পৌর কমিটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সেখানে অংশগ্রহণ করায় ছোট্ট পরিসরে রাজবাড়ীতে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালনের আয়োজন করা হয় জানান জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।