॥এম.দেলোয়ার হোসেন॥ ঈদ শেষে রাজধানীমুখী যানবাহনের চাপে ঢাকা-খুলনা জাতীয় মহাসড়কের রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়া ঘাটে যানজটের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে যানবাহনের যাত্রীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। গতকাল শনিবার দুপুরে হঠাৎ মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় যাত্রীরা আরো বিপাকে পড়েছেন।
গতকাল ২৩শে জুন বিকাল ৪টা পর্যন্ত দেখাযায়, দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে বাংলাদেশ হ্যাচারিজ পর্যন্ত ৪কিঃ মিঃ এলাকায় ২শতাধিক যাত্রীবাহী বাস ও ৫শতাধিক পণ্যবাহী যানবাহন আটকে রয়েছে। ঘাটের বাইপাস সড়কের ১কিঃ মিঃ জুড়ে লম্বা লাইনে আটকে রয়েছে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস। এছাড়াও আহলাদীপুর হাইওয়ে থানার পুলিশ গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় থানার সামনে থেকে প্রায় ২কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ৩শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক আটকে রেখেছে। ঘাট থেকে নির্দেশ পাওয়ার পর পর্যায়ক্রমে সেগুলো ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা যাত্রীবাহী বাসগুলো দৌলতদিয়া ঘাট পর্যন্ত পৌঁছাতে না পেরে ২/৩ কিঃ মিঃ দূরেই যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছে। এ অবস্থায় যাত্রীরা হেঁটে, বৃষ্টিতে ভিজে ঘাটে পৌঁছাচ্ছেন। সকাল থেকেই সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘাট এলাকায় বাড়তে থাকে যানবাহনের চাপ। ঘন্টার পর ঘন্টা ঘাট এলাকায় যাত্রীবাহী, পণ্যবাহী যানবাহনগুলো আটকে থাকায় সাধারণ যাত্রীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
বিভিন্ন যানবাহনের ড্রাইভার জুয়েল, সিরাজুল, জিল্লুর রহমান এবং যাত্রী মিঞা মোঃ তৌহিদুল ইসলামসহ একাধিক যাত্রী জানান, দৌলতদিয়া ঘাটে এসে ২/৩ ঘন্টা অপেক্ষা করার পর যানবাহনগুলো ফেরীর নাগাল পাচ্ছে। এতে যানবাহনে থাকা শিশু ও বৃদ্ধদের বেশী দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
দৌলতদিয়া ঘাটে কর্মরত বিআইডব্লিউটিসি’র সহকারী ম্যানেজার মোঃ আব্দুল্লাহ জানান, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ২০টি ফেরী যানবাহন পারাপারের কাজে নিয়োজিত থাকলেও পদ্মা নদীতে পানি বাড়ায় ফেরীর যাতায়াতে সময় বেশী লাগায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।