॥মাহ্ফুজুর রহমান॥ রাজবাড়ী সদর উপজেলার শহীদওহাবপুরের ভাড়া বাসা থেকে গতকাল ৮ই জুন সকালে পল্লী বিদ্যুতের লাইনম্যান ওবায়দুর রহমান মিন্টুর স্ত্রী ইশরাত জাহান আশা(২২) এর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে খানখানাপুর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃতার ১টি স্মার্ট মোবাইল ফোন, আত্মহত্যার নোট ও ১টি কলম উদ্ধার করেছে।
জানাগেছে, মৃত ইশরাত জাহান আশা স্বামীর সঙ্গে শহীদওহাবপুর ইউনিয়নের জয়েদ আলী মোল্লার(মাস্টার) বাড়ীতে ভাড়া থাকতো। ঘটনার আগের দিন নিহতের স্বামী ওবায়দুর রহমান মিন্টু ওই বাসা থেকে তাদের নিজ জেলা নওগাঁতে বেড়াতে যায়। তবে পারিবারিক কলহ ও দাম্পত্য অশান্তির কারণে সে আত্মহত্যা করতে পারে বলে স্থানীয়রা ধারণা করছে।
মৃত আশা’র মা মজিদা বেগম ও বাবা আশরাফুল ইসলাম জানান, ৩বছর আগে আশা ও মিন্টুর বিয়ে হয়। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মিন্টু তাদেরকে ফোন দিয়ে বলে, আমি বাড়ীতে যাচ্ছি। আপনাদের মেয়ে যাবে না। আজ(গতকাল শুক্রবার) সকালে মিন্টুর চাচাতো ভাই শহিদুল আমাদের বাড়ীতে ফোন দিয়ে জানায়, আমাদের মেয়ে আর বেঁচে নেই।
বাড়ীর মালিক জয়েদ আলী মোল্লা জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মিন্টুর সহকর্মী মুন্না তাদের বাসায় জাম দিতে আসে। কিন্তু অনেক ডাকাডাকি করার পরও কোন সাড়া না পেয়ে চলে যায়। রাতে সেহরী খাওয়ার পর আবারও মুন্না মিন্টুর স্ত্রী আশাকে ডাকতে আসে। তিনি জানতে চাইলে মুন্না জানায়, মিন্টু বাসায় নেই। আমাকে ফোন করে জানিয়েছে, তোমার ভাবীকে বারবার ফোন দিয়েও পাচ্ছি না। একটু বাসায় গিয়ে দেখো। পরে অনেক ডাকাডাকির পর সাড়া না পেয়ে পাশের রুমে গিয়ে ঘরের সিলিং উঁচু করে দেখতে পায় আশা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে রয়েছে। এরপর মুন্না বিষয়টি মিন্টুকে ফোনে জানায়।
খানখানাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের পর সুরহতাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত আত্মহত্যার নোটের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা গোপনীয় বিষয়। এখন কিছুই জানানো যাবে না।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য পল্লী বিদ্যুতের লাইনম্যান মিন্টুর সাথে মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সে ফোন রিসিভ করেনি। একপর্যায়ে সে ফোন বন্ধ করে রাখে।