॥দেবাশীষ বিশ্বাস॥ আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে যাত্রীদের ঈদযাত্রা নিশ্চিতকরণ ও যাত্রী সাধারণের যাতায়াত নির্বিঘœ করার লক্ষ্যে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতকাল ৩০শে মে সকালে কালেক্টরেটের সম্মেলন কক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শওকত আলীর সভাপতিত্বে সভায় পুুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি বিপিএম-সেবা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ ছাদেকুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ আশেক হাসান, রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী, গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবিএম নুরুল ইসলাম, গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবু নাসার উদ্দিন, গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই’র উপ-পরিচালক মোঃ জিল্লুর রহমান, র্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রইছ উদ্দিন, ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আনিসুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকাশ কৃষ্ণ সরকার, বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক(বাণিজ্য) মোঃ শফিকুল ইসলাম, গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মির্জা আবুল কালাম আজাদ, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মৃদুল রঞ্জন দাস, বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ শাহ আলম, দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটের সুপারভাইজার মোহাম্মদ আলী মোল্লা ও দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল ইসলাম মন্ডল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাঈদুজ্জামন খান, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমান, বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক এস.এম মাহফুজুর রহমান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হাফিজুল ইসলাম, এনডিসি মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার মোঃ রফিকুল ইসলাম ও মোঃ মহিউদ্দিন, রাজবাড়ী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ তারিক কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী বলেন, এবারের ঈদ বর্ষা মৌসুমে হওয়ায় বৃষ্টি ও পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে জন্য বৃষ্টি ও পানি বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে ভিন্ন আঙ্গিকে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। দৌলতদিয়ার ঘাটগুলো ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মধ্যে থাকায় ঘাটগুলো বন্ধ হওয়ার আশংকা রয়েছে। সে কারণে আরো ২টি ঘাট চালু করা হবে। পুরাতন যে ঘাটগুলো রয়েছে তার মধ্যে ঈদের পূর্বে যে কোন একটি ঘাট সংযোজনের জন্য তিনি বিআইডব্লিটিএ’র কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করেন।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, মলম পার্টির দৌরাত্ম্য রোধ করতে পুলিশকে আরো কঠোর হতে হবে। এবারের ঈদকে কেন্দ্র করে সরকারের কিছু কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। সেগুলো পালন করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের প্রতি নির্দেশনা রয়েছে। কোন অবস্থাতেই অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে দেওয়া হবে না। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে এবার আর জরিমানা করা হবে না, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সরাসরি জেলে ঢোকানো হবে। কোন সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী যদি আইন অমান্য করে তাকেও কোন ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি ঈদকে সামনে রেখে ফেরী, লঞ্চ, বাস, ট্রাক ও মাহেন্দ্রর ভাড়া তালিকা জেলা প্রশাসনের কাছে জমা প্রদানের নির্দেশসহ সেই ভাড়া সংশ্লিষ্ট যানে টানিয়ে দেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। এছাড়াও তিনি আনসার সদস্যরা পোশাক পরে কোন চাঁদা আদায় করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে উল্লেখ করেন এবং দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট, ফেরী ঘাট ও বাস টার্মিনালে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ প্রদান করেন।
পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি বিপিএম-সেবা বলেন, আসন্ন ঈদে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দৌলতদিয়া ঘাটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে। এছাড়াও দৌলতদিয়া ফেরী ঘাট এলাকায় ৫টি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের নজরদারী থাকবে। দৌলতদিয়া ঘাটে পুলিশের বিশেষ পদক্ষেপের কারণে ইতিমধ্যে অনেকটাই যানজটমুক্ত হয়েছে। মলম পার্টি ও ছিনতাইকারীদের রুখতে সাদা পোশাকে পুলিশ কাজ করে যাবে।
বিআইডব্লিটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক(বাণিজ্য) মোঃ শফিকুল ইসলাম জানায়, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমানে ১৭টি ফেরী চলাচল করছে। ঈদের ৭দিন পূর্বে আরো ২টি ফেরী সংযোজন করা হবে।