॥স্টাফ রিপোর্টার॥ যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেছে। যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, উন্মুক্ত নীতি এবং সকলের অংশগ্রহণই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
অতি সম্প্রতি প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের উন্নয়নে যুক্তরাজ্যের ভূমিকা’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলায় এবং দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে বাংলাদেশের জনগণের ভূমিকা প্রশংসনীয়। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সরকার এবং জনগণের যে উন্মুক্ত সীমান্ত নীতিও ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে এ প্রতিবেদনে।
গতকাল রবিবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানা যায়। এতে যুক্তরাজ্য পার্লামেন্টের প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ব্র্যাক এবং অন্যান্য এনজিও’র আন্তরিক সহযোগিতা ছাড়া যুক্তরাজ্য সরকারের পক্ষে বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে কার্যকর ভূমিকা রাখা সম্ভব হতো না।
বাংলাদেশ বিশে^র অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ দেশ এবং অনেক মানুষ এখনো দারিদ্রসীমার নীচে বাস করে। এ দু’টি বিষয় মাথায় রেখেই রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলায় যুক্তরাজ্য সরকার কার্যক্রম জোরদার করেছে। এছাড়াও, যুক্তরাজ্য সরকার রোহিঙ্গা ইস্যুতে দায়িত্ব নিতে এগিয়ে আসার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়ে আসছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশের নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় উন্নীত হওয়াকে স্বাগত জানিয়ে যুক্তরাজ্য পার্লামেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই সাফল্য অনেক বছরের টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের ফসল।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘আমরা যেসব প্রকল্প পরিদর্শন করেছি এবং যেসব মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি, তাদের মধ্যে আমরা এক দারুণ শক্তি ও আত্মবিশ^াস লক্ষ্য করেছি।’
যুক্তরাজ্য সরকারের আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক দপ্তর ডিপার্টমেন্ট অফ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট(ডিএফআইডি) এবং ব্র্যাকের মধ্যকার কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বলা হয়, স্থানীয় পর্যায়ে কার্যক্রম দিয়ে যাত্রা শুরু করা ব্র্যাক এখন বিশে^র ১নম্বর এনজিও হয়ে উঠেছে।
ডিএফআইডি এবং ব্র্যাকের মধ্যকার এই কৌশলগত অংশীদারিত্বের আওতায় যেসব সাফল্য অর্জিত হয়েছে সেগুলোকে প্রয়োজনে বিশে^র অন্যান্য স্থানে মডেল হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।