॥স্টাফ রিপোর্টার॥ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত ঘরানার কাউকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে না -এমন তথ্য জানা গেছে দলটির একাধিক সুত্র থেকে। আওয়ামী লীগের সুত্র ছাড়াও একাধিক গোয়েন্দাসুত্রও খবরটির সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
সুত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সভাপতি, ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলার পরও ছাত্রলীগের কয়েক ডজন নেতাকর্মী কোটা আন্দোলনে স্থির থাকে এমনকি ছাত্রলীগের মত সংগঠন থেকে পদত্যাগ করে কোটা আন্দোলনে থাকার ঘোষণা দেয়। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা এটাকে দল ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি চপেটাঘাত বলেই মনে করছে।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারক মহল মনে করছে ছাত্রলীগে জামায়াত-শিবির ও ছাত্রদলের অনুপ্রবেশের কারণেই এটা ঘটেছে। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে প্রাপ্ত তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা যায় কোটা আন্দোলনে জড়িত ও নেতৃত্বদানকারী ছাত্রলীগের পদ-পদবীতে থাকাদের সবাই এক সময়ে ছিলো ছাত্র শিবির ও ছাত্রদলের কর্মী এবং জামায়াত ও রাজাকার পরিবারের সন্তান। তাদের আত্মীয় স্বজনেরা জড়িত জামায়াত-বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে। এই সকল গোয়েন্দা প্রতিবেদন পাওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড, যে কোন মূল্যে ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে পরিকল্পিতভাবে পা ফেলছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
আওয়ামী লীগের একজন সিনিয়র নেতা বলেছেন, আমরা দেখতে পেয়েছি যে সকল এলাকায় বিএনপি ও রাজাকার জামায়াত ঘরানার লোক এনে এমপি মনোনয়ন দেয়া হয়েছে সে সকল এলাকা থেকে অনুপ্রবেশের ঘটনা বেশী ঘটেছে। আওয়ামী লীগের ওই নেতা বলেন, সে কারণে যে সকল এলাকায় আওয়ামী লীগে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানদের নূন্যতম জয়লাভের আশা আছে সে সব এলাকায় আগামী নির্বাচনে জামায়াত-বিএনপি ঘরানার কাউকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেয়া হবে না।
বর্তমান সংসদে আওয়ামী লীগের টিকিটে জিতে আসা কমকরে হলেও ৭জন এমপি আছেন যাদের পরিবার পুরোপুরিভাবে স্বাধীনতা বিরোধী এবং তাদের আত্মীয় স্বজনেরা জামায়াত বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
সুত্র আরো জানায় আগামী নির্বাচনেও আরো ৬জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে প্রচারণা শুরু করেছে যাদের পরিবারের লোকরো এক সময়ে ছিলো জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, কেউ কেউ জামায়াত বিএনপির নেতৃত্বে ছিলেন। একটি গোয়েন্দা সুত্র জানায় ওই সকল এলাকায় জায়ামাত বিএনপি পরিবার বাদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ঘরানার প্রার্থীর পক্ষে জনমত সংগঠনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজবাড়ী-২ আসনে(পাংশা-কালুখালী ও বালিয়াকান্দি উপজেলায়) জামায়াত ও বিএনপি ঘরানার ২/৩জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে নির্বাচনী এলাকা বাইরে থেকে নিজেদের ঘরোনার কিছু লোকজন দিয়ে নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের ঐক্য নষ্টের জন্য ফেসবুকে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।