॥স্টাফ রিপোর্টার॥ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী,এমপি বলেছেন, কোনো দেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে হলে সে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে কারিগরি শিক্ষায় রূপান্তর করতে হবে। আমাকে যে কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাতে আমি খুশি। আমি কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। বিশ্বের বহু দেশ কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে এগিয়ে গেছে এবং যাচ্ছে। বর্তমানে আমাদের দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটি অথবা দু’টি করে কারিগরি ট্রেড চালু করার চেষ্টা চলছে। কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে দেশের বেকার সমস্যা দূর হবে।
গতকাল ১৩ই এপ্রিল বিকেলে রাজবাড়ী সদর উপজেলার জালদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলীর সংবর্ধনা এবং বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরণ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ কথা কম বলে, কাজ বেশি করে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার সরকার দেশের উন্নয়নে বিশ্বাসী। তা প্রতিটি ক্ষেত্রেই পরিলক্ষিত হচ্ছে। সারাদেশের শিক্ষা, বিদ্যুৎ, রাস্তা-ঘাটসহ সকল ক্ষেত্রে শতভাগ উন্নয়নের কাজ করা হচ্ছে। তাই আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো বিকল্প নেই। আবারো নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে বিজয়ী করতে হবে। তবেই দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।
জালদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবু মোঃ আবুল হাছিম জেহাদ মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা শিক্ষা অফিসার সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানে এডঃ ইমদাদুল হক বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদকে এডঃ মোঃ সফিকুল হোসেন সফি, বগুড়ার জেল সুপার মোঃ মোকাম্মেল হক, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক লুৎফর রহমান চুন্নু, সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আঃ রাজ্জাক মিয়া, সুলতানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ সাইদুজ্জামান রবি প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী একটি সংগীত পরিবেশন করেন। এরপর অতিথি শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষে বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়।