॥স্টাফ রিপোর্টার॥ বর্নাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা, কেক কাটা, শীতবস্ত্র বিতরণ, রক্তদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যদিয়ে রাজবাড়ী জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে গত ৪ঠা জানুয়ারী ছাত্রলীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে গত বুধবার দুপুরে রাজবাড়ীর কাজী হেদায়েত হোসেন স্টেডিয়াম থেকে বের হয় বর্নাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটি প্রধান সড়ক ও রাজবাড়ী বাজার প্রদক্ষিণ করে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে গিয়ে সমাপ্ত হয়। আনন্দ শোভাযাত্রায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ রাজীব, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম এরশাদ, জেলা ছাত্রলীগ নেতা নাহিদুল আলম রাজু, কামার উদ্দিন আহম্মেদ পরাগ, সোহেল মন্ডল, আঃ রশিদ খান, বাপ্পী কর্মকার, নজরুল ইসলাম রুবেল, মোক্তাদির হাসান সোহান, আলমগীর হোসেন আলম, ফয়সাল, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সামসুল সালেহীন অপু, সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, রাজবাড়ী পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি শাওন মিয়া টাইসন, সাধারণ সম্পাদক জালাল পাঠান, পাংশা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিদুল ইসলাম মারুফ, সাধারণ সম্পাদক তাজবিরুল হাসান সিসিল, বালিয়াকান্দি উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক রাসেল খান রিজু, যুগ্ম-আহবায়ক আনিসুর রহমান, কালুখালী উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক জাহিদুল ইসলাম সুমন, যুগ্ম-আহবায়ক রিপন দেওয়ান ও সোহেল রানা, গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নাজিমুল ইসলাম বৃটেন ও সাধারণ সম্পাদক শিমুলসহ ছাত্রলীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের পর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কেক কাটা হয়। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও রাজবাড়ী জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ রাজীব ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম এরশাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। কেক কাটার পর স্বেচ্ছায় রক্তদান অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সন্ধ্যায় একই স্থানে শীতার্ত দরিদ্রদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ রাজীব বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঐতিহ্যবাহী একটি সংগঠন। ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৬’র ৬ দফা, ৬৯’র গণ-অভ্যুত্থান, ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৯০’র স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনসহ বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্রলীগ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।
তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত নিরক্ষরমুক্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং জেলা আওয়ামী লীগসহ রাজবাড়ীর দুই সংসদ সদস্যের হাতকে শক্তিশালী করার আহবান জানান। এছাড়াও তিনি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদেরকে জামাত-বিএনপি ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার এবং নেশামুক্ত সমাজ গড়াসহ সামাজিক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার আহবান জানান।