॥শিহাবুর রহমান॥ রাজবাড়ীতে জার্মান ও চাইনিজ টানেল কিলন প্রযুক্তিতে অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রীয় যন্ত্রের সাহায্যে ইট তৈরী শুরু করেছে মন্ডল সিরামিক ব্রিকস ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড। ইতিমধ্যেই এই উন্নতমানের ইট সুলভ মূল্যে বিক্রি শুরু হয়েছে।
রাজবাড়ী সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের আগমারাই গ্রামে রেল লাইনের পাশেই গড়ে উঠেছে শতভাগ পরিবেশ বান্ধব এই ফ্যাক্টরী। ফ্যাক্টারীতে রয়েছে কয়েকজন দেশী-বিদেশী প্রকৌশলী। কাঠ ও কয়লা পুড়িয়ে পরিবেশ দূষণের পরিবর্তে পরিবেশ বান্ধব এই ফ্যাক্টারী গড়ে তুলেছেন রাজবাড়ী দুই কৃতি সন্তান (দুই সহোদর) ইঞ্জিনিয়ার মাহাবুব মন্ডল ও ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল কুদ্দুস মন্ডল।
ফ্যাক্টারীর উৎপাদন কাজে নিয়োজিত প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম জানান, ফ্যাক্টারীতে সম্পন্ন কাজই হয় ইলেক্টনিক ট্রলির মাধ্যমে। ইট তৈরীর সর্ব প্রথম প্রক্রিয়ায় মাটি ক্রাশিং মেশিনে প্রবেশ করানো হয়। এরপর সেই মাটি মলটিং মেশিনে মিক্সার করা হয়। এই মিক্সার এক্সটুডার মেশিনে প্রবেশ করা হলে তৈরী হয় মাটির কেক। এরপর এই মাটির কেক চলে যায় কাটার মেশিনে। এই কাটার মেশিনের মাধ্যমেই তৈরী ইট। এরপর এই ইট ড্রায়ার মেশিনের ঢুকিয়ে শুকানো হয়। আর এই শুকানো ইট ট্রলির মাধ্যমে চলে যায় টানেল কিলনে। সেখান থেকেই ইট পোড়ানের পর বেরিয়ে আসে গুণগত মানসম্পন্ন এই ইট।
তিনি আরো জানান, নরমাল পদ্ধতিতে দেশে যে ইটভাটা আছে সেখানে তাপমাত্রা মাপার কোন যন্ত্র নেই। ভাটা শ্রমিকরা আন্দাজের উপর তাপমাত্রা নির্ধারণ করে ইট তৈরী করে থাকেন। ফলে সেই ইটের গুণগত মান অনেকটাই দূর্বল থাকে। কিন্তু আমাদের এখানে তাপমাত্রা মাপার জন্য রয়েছে থার্মা ক্যাবেল। এই থার্মা ক্যাবেলের মাধ্যমেই সঠিক তাপমাত্রা নির্ধারণ করে আমরা ইট তৈরী করে থাকি। যার ফলে বাজারে প্রচলিত পদ্ধতির ইটের চেয়ে আমাদের এই ইটের মান অনেক উন্নত। এছাড়াও সাধারণ ইটের মাঝখানে লোগো দেয়ার কারণে বেশকিছু অংশ জুড়ে গর্ত থাকে। সেই ইট দিয়ে বাড়ী ঘর তৈরী করতে অতিরিক্ত সিমেন্ট ও বালু লাগে। কিন্তু আমাদের প্রযুক্তির এই ইট চারপাশেই সমান। সে কারণে বাসা বাড়ীসহ যে কোন ইমারত নির্মাণে ব্যয় অনেক কম হবে।