॥রফিকুল ইসলাম/দেবাশীষ বিশ্বাস॥ রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে উৎসাহিত করা ও জনগণের দোরগোড়ায় ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রাম ও রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহরের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ খুশী রেলওয়ে ময়দানে গতকাল ১লা মার্চ বিকাল থেকে শুরু হয়েছে ৩দিনব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা।
এ উপলক্ষে বিকাল ৩টায় জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলীর নেতৃত্বে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গনের আম্রকানন থেকে বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেলাস্থল বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ খুশী রেলওয়ে ময়দানে গিয়ে শেষ হয়।
এরপর মেলার মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় উদ্বোধনী আলোচনা সভা। জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য কামরুন নাহার চৌধুরী লাভলী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার ও সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ রহিম বক্স বক্তব্য রাখেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ ছাদেকুর রহমান। আরো বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক ড. এ কে এম আজাদুর রহমান।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) মোঃ আব্দুর রহমান, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী খান.এ শামীম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকাশ কৃষ্ণ সরকার, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক, গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই’র উপ-পরিচালক মোঃ জিল্লুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা নুরমহল আশরাফীসহ অন্যান্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণসহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীগণ ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য কামরুন নাহার চৌধুরী লাভলী বলেন, ৫/৭ বছর পূর্বেও ডিজিটাল বিষয়টি সাধারণ মানুষ শুধু কল্পনাই করতো-আজ সেটা বাস্তবে রূপ নিয়েছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপদান করে দেশকে বিশ্বের বুকে পরিচিত করেছেন। এদেশের তরুণ প্রজন্ম ডিজিটাল অগ্রযাত্রার সাথে স্বনির্ভর বাংলাদেশ গঠনে কাজ করে যাচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী বলেন, বর্তমান সরকার ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইস্তেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়ে আজ সেটা বাস্তবে রূপান্তর করেছে। বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ আজ ডিজিটাল সেবা পাচ্ছে। সরকার গ্রাম পর্যায়ে ডিজিটাল সেবা পৌঁছানোর জন্য ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার নির্মাণ করেছে। ডিজিটাল সেবার কারণে দেশে দুর্নীতি অনেক কমেছে। দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকার ১ম স্থান থেকে ১৫ নম্বরে নেমে এসেছে।
আলোচনার শেষে প্রধান অতিথি, সভাপতি ও বিশেষ অতিথিগণসহ অন্যান্য অতিথিগণ মেলার স্টলগুলো পরিদর্শন করেন। মেলায় সরকারী-বেসরকারী দপ্তরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৮২টি স্টল রয়েছে। আগামীকাল ৩রা মার্চ ৩দিনব্যাপী এই মেলা সমাপ্ত হবে।