শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:১৭ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

রাজবাড়ীতে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সাংবাদিকদের ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা

  • আপডেট সময় বুধবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৬

॥আসহাবুল ইয়ামিন রয়েন॥ “ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ান, শিশু মৃত্যুর হার কমান”-এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে আগামী ১০ই ডিসেম্বর জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে রাজবাড়ী সিভিল সার্জন অফিসের আয়োজনে গতকাল ৭ই ডিসেম্বর সকাল ১০টায় সিভিল সার্জন অফিসের সম্মেলন কক্ষে জেলা পর্যায়ের সাংবাদিকদের ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ রহিম বক্সের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের সিনিয়র শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ এ.কে.এম গোলাম ফারুক, রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি খান মোঃ জাহুরুল হক ও সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার আব্দুল মতিন প্রমুখ।
কর্মশালায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উপর তথ্য ভিত্তিক পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের আরএমও ডাঃ সুশীল কুমার রায়। সঞ্চালনা করেন সিভিল সার্জন অফিসের জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মোকরেমা মঞ্জুরা।
এ সময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সার্ভিলেন্স মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ মাকছুদুল আমিন, সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মঞ্জুরুল হকসহ জেলা সদরের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার মিডিয়ার সাংবাদিকগণ এবং স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ও ক্যাম্পেইনের বিভিন্ন দিক নিয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলোচনা করা হয়। যার মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে ১লক্ষ আই ইউ নীল রঙের ও ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে ২লক্ষ আই ইউ লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে। শিশুকে এই ক্যাপসুল খাওয়ানোর আগে ক্যাপসুলের মুখ কেটে ভিতরের লিকুইড খাওয়াতে হবে। কোন অবস্থাতেই আগে মুখ কেটে রাখা ক্যাপসুল শিশুকে খাওয়ানো যাবে না। শিশুকে খাওয়ানোর ঠিক আগ মূহুর্তে ক্যাপসুলের মুখ কাটতে হবে ও ক্যাপসুলটি রোদে বা ফ্রিজে রাখা যাবে না। ছয় বছরের কম বয়সী শিশু, পাঁচ বছরের অধিক বয়সী শিশু, যদি কোন শিশু চার মাসের মধ্যে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খায় বা মারাত্মক অসুস্থ্য শিশু যাকে হাসপাতালে ভর্তির করার প্রয়োজন এমন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। একটি শিশুকে একের অধিক ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নাই এবং এটি শিশুদের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ। এই ক্যাপসুল খাওয়ানোর পর কোন কোন শিশুর বমি বমি ভাব, মাথা ব্যথা হতে পারে, যা ১২-২৪ ঘন্টার মধ্যে সেরে যাবে এবং শিশু সম্পূর্ণ সুস্থ্য হয়ে উঠবে।
এরপরও যদি অভিভাবকগণ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে চান তবে অবশ্যই রাজবাড়ী সিভিল সার্জন অফিসের কন্ট্রোল রুমে ০৬৪১-৬৫৮২১ নম্বর ফোনে যোগযোগ করতে হবে।
ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওানোর আগে ও পরে শিশু মায়ের বুকের দুধসহ সব ধরণের খাবার গ্রহণ করতে পারবে। গর্ভবতী মা, শিশু ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, কলিজা, হলুদ ফলমূল, রঙিন শাক-সবজি ও ভিটামিনযুক্ত ভোজ্য তেল ব্যবহারে ভিটামিন ‘এ’ এর চাহিদা পূরণ হয়।
এবারে আগামী ১০ই ডিসেম্বর শিশুদের যে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে সেটি সরকারের ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞদের নির্দেশনা মোতাবেক আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করে বাংলাদেশের গ্লোব ফার্মাসিটিক্যাল কোঃ লিঃ তৈরী করেছে। যার মেয়াদ ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত রয়েছে।
উল্লেখ্য, এবারের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে রাজবাড়ী জেলার ৫টি উপজেলা ও ৩টি পৌরসভার ১হাজার ১শত ৩৬টি টিকাদান কেন্দ্রে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে ১লক্ষ আই ইউ নীল রঙের ও ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে ২লক্ষ আই ইউ লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। যার মধ্যে ১৭টি ভ্রাম্যমান টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে পথ শিশুদেরও এই ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। প্রতিটি টিকাদান কেন্দ্র সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে সকল শিশুর অভিভাবকদের এই সময়ের মধ্যে তাদের শিশুদের ভিটামিন ‘এ’সহ অন্য পুষ্টিজনিত অভাব পূরণের জন্য ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!