॥রফিকুল ইসলাম॥ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জোড়া মসজিদে ১১৭তম পবিত্র ওরশ শরীফে যোগদানের জন্য ২১৫৮ জন যাত্রী নিয়ে রওনা দিয়েছে ওরশ স্পেশাল ট্রেন। গতকাল ১৫ই ফেব্রুয়ারী রাত ১০টায় ট্রেনটি রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন ত্যাগ করে।
ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার পূর্বে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী (কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ) আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী,এমপি, জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী এবং ট্রেন লিডার ও রাজবাড়ী আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়ার সভাপতি কাজী ইরাদত আলী ওরশ যাত্রীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন।
তারা সুশৃঙ্খলভাবে ওরশে অংশগ্রহণ করাসহ নিয়ম-কানুন মেনে চলার জন্য ওরশ যাত্রীদের প্রতি আহ্বান জানান। এ ছাড়াও ট্রেনটি যাত্রা শুরুর পূর্বে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন খানকা শরীফ বড় মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা মোঃ শাহজাহান।
এরআগে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও জেলা প্রশাসকসহ জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তাগণ ওরশ যাত্রীদের সাথে কুশলা বিনিময় করেন এবং সার্বিক খোঁজ-খবর নেন।
এ ছাড়াও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী তার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে প্রত্যেক ওরশযাত্রীকে ২লিটারের ১টি করে পানির বোতল ও ২৫০ এমএলের ১টি করে প্যাকেটজাত ম্যাংগো জুস প্রদান করেন।
এবারের ওরশ স্পেশাল ট্রেনে উল্লেখযোগ্য যাত্রীদের মধ্যে রয়েছেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য কামরুন নাহার চৌধুরী লাভলী এবং রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডঃ এম.এ খালেক।
২৩টি বগি সম্বলিত স্পেশাল ট্রেনটির মধ্যে ১২০৯জন পুরুষ, ৮৭৭জন নারী ও ৭২জন শিশুসহ মোট ২১৫৮ জন ওরশ যাত্রী রয়েছে। তাদের মধ্যে রাজবাড়ী, পাবনা, ফরিদপুর ও মানিকগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়ার তরিকার মুরিদ ও ভক্তগণ রয়েছেন। পবিত্র ওরশ শরীফ শেষে ১৯শে ফেব্রুয়ারী ট্রেনটি রাজবাড়ী ফিরে আসবে।
উল্লেখ্য, মেদিনীপুরে নূরনবী হযরত মুহাম্মদ(সাঃ) এর ৩৩তম ও গাউস-উল-আযম বড় পীর সৈয়দেনা হযরত আব্দুল কাদের জিলানী(আঃ) পাক এর ২০তম অধস্তন পবিত্র বংশধর আলী আব্দুল কাদের সামছুল কাদের হযরত সৈয়দ শাহ মোরশেদ আলী আল কাদেরী আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী আল বাগদাদী আল মেদিনীপুরী(আঃ) মশহুর নাম “মওলাপাক”-এঁর ১১৭তম বার্ষিক ওরশ শরীফ আগামীকাল ১৭ই ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাতে জোড়া মসজিদ মির্জা মহল্লা মেদিনীপুরে উদযাপিত হবে।
পবিত্র ওরশ শরীফ পরিচালনা করবেন রাসুল(সাঃ) পাক এর ৩৬তম ও গাউস-উল-আযম বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানী(আঃ) পাক এর ২৩তম অধস্তন পবিত্র বংশধর জিল্লে ইলাহী, বেলায়েতের রবি, গাউসে জামান লাখো ভক্তের আকা ও কেবলা কাদেরীয়া তরীকার সাজ্জাদানশীন বড় হুজুরপাক হযরত সৈয়দ শাহ্ রশিদ আলী আল কাদেরী আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী আল বাগদাদী আল মেদিনীপুরী মাদ্দাজিলুহুল আলী।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও ভারত সরকার যৌথভাবে ১৯০২ সাল থেকে এই স্পেশাল ট্রেনটি চলাচলের ব্যবস্থা করে আসছে। এ জন্য আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়া রাজবাড়ী উভয় সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ। একই দিনে উক্ত ওরশ রাজবাড়ীর খানকায়ে কাদেরীয়া বড় মসজিদ অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও ওরশ শরীফে যোগদানের জন্য বিপুল সংখ্যক মানুষ সড়ক পথে ইতিমধ্যে ভারতে গেছে।