সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ০৭:১৮ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

রাজবাড়ী জেলা কমিটিকে বাইপাস করে গোপনে গোয়ালন্দ উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি অনুমোদনের অভিযোগ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

॥আশিকুর রহমান॥ আগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা না করেই এক বছরের জন্য রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন।
তবে এ কমিটি অনুমোদনের বিষয়ে রাজবাড়ী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ রাজীব ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম এরশাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা বা জানানো হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তারা।
এদিকে, সাইফুর রহমান সোহাগ ও জাকির হোসেন প্রভাবিত হয়ে এ কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন আগের কমিটির সভাপতি এবিএম বাতেন।
এ কমিটি নিয়ে রাজবাড়ী জেলার পাঁচটি উপজেলার ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এতে করে সহিংসতা সৃষ্টির আশংকা করা হচ্ছে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ রাজীব ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম এরশাদ বলেন, ২০১৬ সালের ১লা ডিসেম্বর ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা গোয়ালন্দ উপজেলা ছাত্রলীগের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি অনুমোদন দিই। ওই কমিটিতে এবিএম বাতেনকে সভাপতি ও মোঃ আসাদুজ্জামান চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ওই কমিটির সকল নেতাকর্মীরা সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে রাজনীতি করে আসছিলেন। ২০১৭ সালের ১লা ডিসেম্বর ওই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। এরপর আমরা ১১ই ডিসেম্বর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গোয়ালন্দ উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সম্মেলনের জন্য প্রস্তুত হতে বলি। আগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার মধ্য দিয়ে সম্মেলন করে নতুন কমিটি অনুমোদনের জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এ বিষয়ে আমরা রাজবাড়ী-১ আসনের এমপি ও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কয়েকবার আলোচনাও করেছি। হঠাৎ গত ৬ই ফেব্রুয়ারী আমরা জানতে পারি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ভাই গোপনে সাত সদস্য বিশিষ্ট গোয়ালন্দ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন। ওই কমিটিতে যাদেরে নাম দেওয়া হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
তারা আরও বলেন, আগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা না করে ও জেলা ছাত্রলীগের মতামত না নিয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটির ক্ষেত্রে নগ্ন হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। আমাদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সম্মেলনের মাধ্যমে ওই উপজেলা কমিটি দিতে হবে। তা না হলে আমরা সাংগঠনিক ক্ষমতাবলে পাল্টাপাল্টি কমিটি দেবো।
গোয়ালন্দ উপজেলা ছাত্রলীগের আগের কমিটির সভাপতি এবিএম বাতেন বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ভাই টাকার মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে গোপনে গোয়ালন্দ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন। আমরা এ কমিটি মানি না।
উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন অনুমোদিত কমিটির সভাপতি ও জেলা ছাত্রলীগের আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান রুবেল বলেন, রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী মহোদয়ের ডিও লেটারের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্র থেকে আমাদের কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। একটি কুচক্রী মহল আমাদের কমিটি নিয়ে নোংরা রাজনীতি করছে।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা এখনো পর্যন্ত ওই কমিটির অনুমোদন প্রকাশ করিনি।
মাতৃকন্ঠের হাতে আসা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্যাডে ৬ই ফেব্রুয়ারী অনুমোদিত গোয়ালন্দ উপজেলা ছাত্রলীগের সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটির নিচের স্বাক্ষর কি তাহলে ভূয়া কি না? এমন প্রশ্নে সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, আপনারা কোন কাগজ হাতে পেয়েছেন সেটি না দেখলে বুঝতে পারছি না। এরপর তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে কলটি কেটে দেন।
এদিকে, এ কমিটির বিষয় নিয়ে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ রাজীব। দীর্ঘ স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন- রাজনৈতিক জীবনের প্রথম দিন হতে আজ অবধি কখনো রাজনৈতিক নীতি বা আদর্শের সাথে বেঈমানী করিনি। ২০০১ পরবর্তীতে যখন দলের দুঃসময় ছিলো, তখন এখনকার সময়ের নতুন পাঞ্জাবি গায়ে দেওয়া অনেক নেতা মাঠে ছিলনা। তখন আমরা সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে মাঠে ছিলাম। সাবেক ২০০১ পরবর্তী নেতারা শামীম ভাই, পিয়াল ভাই, মাসুদ ভাই, রানা ভাই, মঈন ভাই, স্বপন ভাই, রেভান ভাই, তিতু ভাই, কামরুল ভাই, রাব্বী ভাই, মানিক ভাই, মিঠু ভাই, সোহেল ভাই, রিপন ভাইসহ আরো অনেকে সেই সময়ে মাঠে ছিলেন। আমি তখন রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলাম কিনা তার বিচার আপনাদের হাতে।
তিনি লিখেছেন, আমার ২০০৩ সালে ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদকের মধ্য দিয়ে পদবীর রাজনীতি শুরু হয়। ২০০৯ সালে রাজবাড়ী জেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ রাজবাড়ী সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। ২০১১ সালে রাজবাড়ী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। ২০১৬ সালের ২৪শে সেপ্টেম্বর আমি সকল ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামীলীগের সুযোগ্য সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকসহ অনেকের প্রচেষ্টায় এবং ছাত্রলীগের শেষ আশ্রয়স্থল জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সুযোগ্য সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সুযোগ্য সাধারণ সম্পাদক এস.এম জাকির হোসাইন ভাইয়ের সাক্ষরে রাজবাড়ী জেলা ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন হয়, আমি সেই কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হই। ২০০৯ সালে কলেজ কমিটি হতে আজ পর্যন্ত আমার মাধ্যমে যতগুলো কমিটি হয়েছে আমি সৎ সাহস নিয়ে বলতে পারি কারও কাছ থেকে কোন উপঢৌকন নিয়ে কোন কমিটি করিনি। যতগুলো কমিটি করেছি সবগুলোই স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে এবং ছাত্রলীগের সাবেক বর্তমান নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে করেছি। তবে কেন রাজবাড়ী জেলা ছাত্রলীগের মতামত না নিয়ে গোয়ালন্দ ছাত্রলীগের কমিটির ক্ষেত্রে নগ্ন-হস্তক্ষেপ করা হলো।
জাকারিয়া মাসুদ রাজীব আরও লিখেছেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দর দৃষ্টি আর্কষন করছি আপনারা আমাদের পুর্নাঙ্গ কমিটি অনুমোদনের সময় কার ইশারায় কিছু আমাদের বিরোধীমনা ছাত্র সংগঠনের কর্মীরা আমাদের কমিটিতে প্রবেশ করে। আর আমাদের কিছু নিবেদিত কর্মীর নাম বাদ পড়ে, যাদের নাম আমরা কমিটিতে দেওয়ার জন্য আমাদের প্যাডে বারবার প্রেরণ করেছি। আপনারা আমাদের কমিটিটা সংশোধোন করলেন না। আমরা গত ১১/১২/১৭ তারিখে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গোয়ালন্দ উপজেলাকে সম্মেলনের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলি। আমারা আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্যকে অবহিত করি, তিনি নির্বাচনের পরে কমিটির দেওয়ার কথা বলেন। আমি কেন্দ্রী সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকে জানাই এবং আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্যের সাথে দয়া করে আলোচনা করতে বলি। কথা চলাকালীন সময়ের মধ্যে আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্য শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ায় তিনি ব্যাস্ত হয়ে পড়েন। তারপর আমরা তার সাথে এই ১৫দিন দেখা হয়েছে তবে কমিটি সম্পর্কে আলোচনা করতে পারি নাই। তারপর গত ৩/২/১৮ তারিখ মুখেমুখে শুনতে পাই গোয়ালন্দ উপজেলা কমিটি হতে যাচ্ছে। আমি কেন্দ্রীয় সভাপতির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মহোদয় একটা ডিওলেটারে জোর সুপারিশ করেছেন। আমি ও আমার সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রীয় সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক ভাইকে অনুরোধ করি মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের সাথে আমরা কথা বলার পর যেন কমিটিটা অনুমোদন দেন। গতকাল আমরা ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারি যে ৬/২/১৮ তারিখ গোয়ালন্দ উপজেলা কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে। জানাযায় এই কমিটিতে যাদেরে নাম দেওয়া হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। আমাকে কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রিয় নেতা সাইফুর রহমান সোহাগ ভাই জানান যে, এমন কোন কমিটি হয়নি এটা মিথ্যা। তিনি বলেন যারা অপপ্রচার করছে তাদেরকে প্রচার করতে নিষেধ করছি। তিনি বলেন তোদের এবং মাননীয় প্রতিমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করে সম্মেলনের তারিখ জানাবো। কিন্তু বিকেল থেকে প্রচার বেড়ে চলে। এরপর আমি ও আমার সাধারণ সম্পাদক আবারো সোহাগ ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করি এবং বলি আপনার এবং জাকির ভাইয়ে স্বাক্ষর যেখানে আছে আমি তাকে মিথ্যা বলি কি করে। তখন তিনি বলেন আমি দপ্তর সম্পাদককে বলে দিচ্ছি কমিটি স্থগিত করতে দপ্তর সম্পাদকের কাছে যোগাযোগের পর তিনি বলেন আমি এ বিষয়ে জানিনা। রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি-সাাধারণ সম্পাদকের দৃষ্টি আকর্ষন করছি- আমাদের কি দোষ আছে, যে আমাদের অধিকার হরন করা হলো। দোষ থাকলে আমরা মেনে নিতাম। কারণ ছাড়া অধিকার হরন কমিটি আমরা জেলা ছাত্রলীগ মেনে নিতে পারি না। আমাদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি দিতে হবে। অন্যথায় আমরাও কমিটি দেবার সাংগঠনিক ক্ষমতা রাখি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
জাকারিয়া মাসুদ রাজীবের এ ফেসবুক স্ট্যাটাসের নিচে গোপনে গোয়ালন্দ উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি অনুমোদনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে রাজবাড়ী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক এবং বর্তমান নেতাকর্মীরাসহ বিভিন্নজন মন্তব্য করেছেন। ওই মন্তব্যগুলোর মধ্যে থেকে বিশেষ কিছু মন্তব্য পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো ঃ-
** জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ফিরোজ আহমেদ স্বপন লিখেছেন- ঠিক বলেছ, তোমাদের অনুমোদন ছাড়া কমিটি হতে পারে না। গঠনতন্ত্রে এমন কোন নিয়ম নাই যে, তোমাদের ওভারলুক করে কোন কিছু পাশ করাবে। ছাত্রলীগ কোন অঙ্গসংগঠন না, সহোযগী সংগঠন। সঠিক পথে থাকো বিজয় আসবেই।
** রাজবাড়ী পৌর ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক প্রীতম কুমার দে পিন্টু লিখেছেন- রাজীব ভাইয়া আপনার সাথে না মিশলে বুঝতেই পারতাম না আপনি কি। ভাইয়া আপনার সিদ্ধান্ত রাজবাড়ী ছাত্রলীগের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত। সাইফুর রহমান সোহাগ ভাই ও জাকির হোসেন ভাই আপনারা কিসের জন্য এগুলো করছেন বুঝতে পারছি না। আপনারা আমাদের জেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে কিছু যোগ্য-ত্যাগী নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে কিছু অযোগ্যদের ঢুকিয়ে দিয়ে কমিটি গঠন করে দিলেন। যা আমাদের কাম্য ছিলো না। আপনাদের বিদায় লগ্নেও এরকম জঘন্য কাজ করছেন ক্যানো। আপনারা অনেক খেলেছেন, এবার খেলা বন্ধ করেন। কারণ আপনাদের এখন বিদায়লগ্ন। গোয়ালন্দ উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ জঘন্য কমিটি হিসাবে বিবেচিত হয়েছেন। তাই আরও নিচে নামেন না ভাই আপনারা।
** ছাত্রলীগ নেতা মোক্তার হোসেন সোহান লিখেছেন- রাজবাড়ী জেলা ছাত্রলীগের উপরে বারবার এই সব আঘাত বরদাস্ত করা হবে না। আমরা রাজপথে রাজনীতি করি। সেন্ট্রাল এসব দূর থেকে দেখবে না। মূল্যায়ন করার অধিকার আপনাদের না। ঐসব মামলা খাওয়া মার্ডার মামলার আসামীরা কখোনই নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা রাখে না।
** ছাত্রলীগকর্মী জুবায়ের হাসান লিখেছেন- সঠিক সিদ্ধান্ত। যারা ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খেয়ে চেইন অফ কমান্ড ভাংছে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া জরুরী।
** কালুখালী উপজেলা ছাত্রলীগকর্মী মেহেদী হাসান বাপ্পী লিখেছেন- ভাই এখনকার সব কমিটিই তো ফেসবুকেই হচ্ছে। আর এখনকার রাজনীতিগুলো এমনই হচ্ছে। দুঃখজনক।
** জেলা ছাত্রলীগনেতা ইমরুল হাসান সুমন লিখেছেন- ভাই জেলা কমিটিকে বাদ দিয়ে কোনো কমিটি আমরা মানিনা। আমরা রাজীব ভাইয়ের সাথে আছি।
** চন্দনী ইউনিয়নের ছাত্রলীগকর্মী শুভ বিশ্বাস লিখেছেন- রাজবাড়ী জেলা ছাত্রলীগের দুই অভিভাবক সংগ্রামী সভাপতি প্রিয় ভাইয়া জাকারিয়া মাসুদ রাজীব ও বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক শ্রদ্ধেয় ভাইয়া সাইফুল ইসলাম এরশাদ। যাদের দিক নির্দেশনায় রাজবাড়ী জেলা ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতৃবৃন্দ, কর্মী, সমান গ্রহণযোগ্যতা পায়। তবে কেন্দ্র থেকে কেন এমন অবমাননা। রাজবাড়ী জেলা ছাত্রলীগের সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত। রাজবাড়ী জেলা ছাত্রলীগের অনুমতি ব্যতীত কোন কমিটি, মানি না, মানবো না। হে ছাত্রলীগ তুমি কার আদর্শ মানো, তার আদর্শ কী মুজিব থেকেও বড়। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।
** বালিয়াকান্দি উপজেলার ছাত্রলীগনেতা আনিসুর রহমান লিখেছেন- রাজিব ভাইয়ের সিদ্ধান্ত ছাড়া রাজবাড়ী ছাত্রলীগের কোনপ্রকার কর্মকান্ড প্রতিষ্ঠিত হতে দেওয়া হবেনা।
** জেলার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সায়েদ আল মাসুদ লিখেছেন- রাজীবের কথা গুলো ১০০% সঠিক। আমি ২০০০ সাল থেকে ২০০৯ সাল জেলা ছাত্রলীগে।
** পাংশা উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হোসেন লিখেছেন- সাহসী নেতার সাহসী মন্তব্য। অপ্রীতিকর কাহিনী মেনে নেওয়া যায় না।
** রামকান্তপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাহিদ হাসান লিখেছেন- রাজবাড়ী জেলা ছাত্রলীগ কে না জানিয়ে তাদের অমতে যে কমিটি দেওয়া হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে রাজবাড়ী জেলা ছাত্রলীগ তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।
** বানীবহ ইউননিয়ন ছাত্রলীগনেতা সাক্ষর দাস লিখেছেন- ধন্যবাদ ভাই এমন সাহসী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। আপনাদের সাথে আলোচনা ছাড়া কমিটি কেমন করে হয়।
** সদর উপজেলা ছাত্রলীগকর্মী সাইফুল ইসলাম লিখেছেন- অবৈধ গোয়ালন্দ উপজেলা ছাত্রলীগের রাতারাতি কমিটিকে তীব্র নিন্দা জানাই। কারণ যারা ছাত্রলীগের নিয়ম না মেনে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মিথ্যা কমিটি ঘোষণা করে যে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করছে, তা ছাত্রলীগের নিয়ম বহির্ভূত। যে উপজেলা কমিটি করার সময় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক অনুপস্থিত বা তাদের স্বাক্ষর ছাড়াই তাদের ক্ষমতা হরন করে সরাসরি কেন্দ্রীয় নেতাদের দিয়ে স্বাক্ষরিত কমিটি ঘোষণা করে, এটা পকেট কমিটি ছাড়া আর কিছুই না। সুতরাং এটা সম্পূর্ণ ভাউতাবাজ এবং ভিত্তিহীন। এখন জেলা ছাত্রলীগের ক্ষমতাবলে সম্মেলন করে আওয়ামীলীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের উপস্থিতিতে নতুন একটা সুন্দর কমিটি দেওয়াই ছাত্রলীগের জন্য ভাল বলে আমি মনে করি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
** পৌর ছাত্রলীগের কর্মী জিসান খান লিখেছেন- রাজীব ভাই, আপনার যে কোনে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে আমরা সর্বদা প্রস্তুত।
** মোঃ শাকিল লিখেছেন- ভাই আপনাদের অনুমোদন ছাড়া উপজেলা কমিটি করতে পারে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!