॥আবুল হোসেন॥ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার এডভোকেট মোঃ ফজলে রাব্বী মিয়া বলেছেন, দক্ষিণাঞ্চলের আরেক জনপ্রিয় মন্ত্রী তোফাজ্জেল হোসেন মানিক মিয়ার ছেলে পানি সম্পদ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মুঞ্জুর সাথে আলোচনা করে এ অঞ্চলের নদী ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গতকাল শনিবার বিকেলে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ মাঠ চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে নবনিযুক্ত শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলীর গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে এবং সংবিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি নির্বাচনে না আসলেও যথারীতি নির্বাচন হবে। এজন্য এখন থেকে নেতাকর্মীদের আর ঘরে বসে না থেকে মাঠে কাজ করার আহবান জানান।
গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ নুরুজ্জামান মিয়ার সভাপতিত্বে উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আতিকুজ্জামান সেন্টু ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মন্ডলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার, গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবিএম নুরুল ইসলাম, গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র শেখ মোঃ নিজাম, প্রতিমন্ত্রীর সহধর্মিনী মিসেস রেবেকা সুলতানা সাজু এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মন্ডল প্রমুখ।
সভায় গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামীলীগ, সহযোগী সকল অঙ্গ সংগঠন, মহাজোট সরকারের শরীক দল জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কাস পার্টি, স্থানীয় সরকারী কামরুল ইসলাম ডিগ্রী কলেজ, রাবেয়া ইদ্রিস মহিলা ডিগ্রী কলেজসহ বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী,এমপিকে সম্মাননা জানানো হয়।
ডেপুটি স্পীকার এডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, মাদরাসার শিক্ষক মানেই জামায়াত ইসলাম বা জঙ্গি, ধারণাটা ভুল। মাদরাসার শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে(কাজী কেরামত আলীকে) বিশ^াস করে মাদরাসা ও কারিগরি বিভাগে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন। সময় বেশি দিন নাই। আগামী এক বছরে আপনার সততা, প্রজ্ঞা, নিষ্ঠা দিয়ে দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে আলোচনা সভা শেষে সন্ধ্যার পর ওই মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় শিল্পী ছাড়াও জনপ্রিয় শিল্পী আখি আলমগীর সঙ্গীত পরিবেশন করেন।