॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নের বাবুপুর কছিমউদ্দিন বিদ্যাপীঠে ২০১৮ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরমপূরণে আদায়কৃত অতিরিক্ত অর্থ ফেরত ও সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষের শাস্তিদের দাবীতে গতকাল ৪ঠা ডিসেম্বর সকালে মানববন্ধন করেছে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সামনে বাবুপুর বি.কে.বি ছাত্র কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে এ কর্মসূচী পালন করা হয়। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলীর কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
মানববন্ধনে বাবুপুর বি.কে.বি ছাত্র কল্যাণ সংস্থার সভাপতি মোঃ মোফাজ্জেল হোসেন বক্তব্য রাখেন। মানববন্ধনে চন্দনী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ শরিফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল রানাসহ ওই স্কুলের ছাত্ররা অংশ গ্রহণ করেন।
বক্তারা বলেন, এ বছর স্কুলটিতে ৮৬জন ছাত্র-ছাত্রী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করবে। শিক্ষা বোর্ডের নির্ধারিত ফি মানবিক ও ব্যবসায় শাখার জন্য ১হাজার ৪৯০টাকা এবং বিজ্ঞান শাখার জন্য ১হাজার ৫৭০ টাকা হলেও তাদের কাছ থেকে ২হাজার ৬শত টাকা থেকে ৫হাজার ৩শত টাকা পর্যন্ত আদায় করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
রাশেদ শেখ নামে এক পরীক্ষার্থী জানান, তার কাছ থেকে ৩১০৫টাকা নেয়া হয়েছে। কিন্তু রশিদ দেয়া হয়েছে ১৭০৫ টাকার। একই কথা জানান অপর পরীক্ষার্থী মাসুম বিল্লা। তার কাছ থেকে ২৯০০টাকা নেয়া হয়েছে। অথচ রশিদ দেয়া হয়েছে ১৭০৫ টাকার। মোজাহার হোসেন নামে এক অভিভাবক জানান, তার মেয়ে পাপিয়া আক্তারের জন্য তিনি ২৫০০ টাকা দিয়েছেন। কিন্তু আরো ১৩০০ টাকা দাবী করা হয়েছে। এ টাকা না দিলে তাকে রশিদ দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে বাবুপুর কছিমউদ্দিন বিদ্যাপীঠ স্কুলের প্রধান শিক্ষক সেলিনা খাতুন জানান, শিক্ষা বোর্ডের নির্ধারিত ফি অনুযায়ীই পরীক্ষাদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়েছে। কারো কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেয়া হয়নি।
স্কুলটির সভাপতি ফজলুল হক ফজের জানান, অতিরিক্ত টাকা নেয়ার ঘটনাটি মিথ্যা। আমাকে সভাপতি পদ থেকে সরানোর জন্য একটি কুচক্রী মহল নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে আসছে। এটিও তাদেরই অপপ্রচার। তবে তিনি বলেন, আমরাও চাই এ ঘটনায় তদন্ত হোক। তদন্তে যদি প্রমানিত হয় শিক্ষকরা এসএসসির ফরমপূরণে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেছে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পারমিস সুলতানা জানান, বিষয়টি আমি তদন্ত করবো। যদি তদন্তে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার বিষয়টি প্রমানিত হয়। তাহলে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
উল্লেখ্য, অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়ের গত ৩০শে নভেম্বর দৈনিক মাতৃকণ্ঠে “কর্তৃপক্ষ নীরব॥সদর উপজেলার বাবুপুর কছিমুদ্দিন বিদ্যাপীঠে এসএসসি’র ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।