॥আসহাবুল ইয়ামিন রয়েন॥ রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতকাল ৩০শে নভেম্বর সকাল ১০টায় জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলীর সভাপতিত্বে কালেক্টরেটের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডঃ এম.এ খালেক, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ রহিম বক্স, বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদ, গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবিএম নুরুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা নুরমহল আশরাফী, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(পাংশা সার্কেল) মোঃ ফজলুল করিম, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জহিরুল ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকাশ কৃষ্ণ সরকার ও নবাগত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ হাবিবুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ ছাদেকুর রহমান, কালুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী সাইফুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনারগণ এবং বিভিন্ন সরকারী বিভাগের উপ-পরিচালক ও কর্মকর্তাগণসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী বলেন, জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় জেলার সার্বিক উন্নয়ন ও উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট প্রতিবন্ধকতা নিয়ে আলোচনাসহ সমাধানের লক্ষ্যে করণীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগের উচিত তাদের উন্নয়নের ক্ষেত্রে যে সমস্ত বিষয় বাঁধা সৃষ্টি করছে সেগুলো এখানে তুলে ধরা। সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বক্তব্য মতে রাজবাড়ীতে যে লাশ কাটা ঘরটি(সদর হাসপাতালের মর্গ) রয়েছে সেখানে ৬টি লাশ সংরক্ষণ করার জন্য বিভিন্ন দামী যন্ত্রপাতি থাকলেও সেগুলো সংরক্ষণের বা সিকিউরিটির ব্যবস্থা নেই। এমনকি দরজা পর্যন্ত নেই। এর সাথে সংশ্লিষ্টদের স্বল্প সময়ের মধ্যেই লাশ কাটা ঘরটির মেরামতসহ পর্যাপ্ত প্রটেকশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি বলেন, রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে রাজবাড়ী পৌরসভার মধ্যে যে চার লেনের রাস্তাটি হবে সেটির মাঝখানের ডিভাইডার পৌর মেয়র দাবী অনুযায়ী আগের ডিভাইডারের সাথে মিল করে করা উচিত। অন্য রকম ডিভাইডার হলে সেটি শহরের সৌন্দর্য অনেকাংশে কমিয়ে দেবে। এ ব্যাপারে জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। রাজবাড়ী শহর রক্ষা বেড়িবাঁধের উপর দিয়ে যে রাস্তাটি রয়েছে সেটি দ্রুত সময়ে মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, যাতে যে কোন সময় বিশেষ করে ঐ সব এলাকার নিরাপত্তায় পুলিশের টহল পিকআপ সহজেই চলাচল করতে পারে। ওই বাঁধের বড় একটি উন্নয়ন প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক কমিটির সভায় অনুমোদন পেয়েছে। জাতীয় ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির অনুমোদন পেলেই সেখানে কাজ শুরু হবে। তবে প্রকল্পটি উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে হবে না বরং সরকারের তালিকাভূক্ত কোন প্রতিষ্ঠান কাজটি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, বন্যা পরবর্তী সময়ে ক্ষয়-ক্ষতি কাটিয়ে উঠার জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে জেলার কৃষকদের ফসল উৎপাদনের জন্য সর্বোচ্চ সহযোগিতা ও সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে।
এ ছাড়াও সভায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পুকুর খনন ও নিরাপদ পানি সরবরাহ, প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের বিভিন্ন বিষয়, শীতের অতিথি পাখি দ্বারা বার্ড-ফ্লু রোগ ছড়ানো, খেজুরের রস থেকে নিপা ভাইরাস ছড়ানো প্রতিরোধে সরকারের বিভিন্ন বিভাগের উন্নয়ন কর্মকান্ড সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করা হয়।